Apan Desh | আপন দেশ

পরমাণু ইস্যুতে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক আলোচনা 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ১২:১৬, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

পরমাণু ইস্যুতে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক আলোচনা 

ছবি: সংগৃহীত

পরমাণু ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের মধ্যে প্রথম দফার বৈঠক শেষ হয়েছে। পাল্টাপাল্টি হুমকির পর স্থানীয় সময় শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ওমানের রাজধানী মাস্কাটে এ আলোচনা শুরু হয়। প্রথম দফায় ইতিবাচক আলোচনার পর দ্বিতীয় দফা আলোচনার বিষয়ে দুপক্ষ সম্মত হয়েছে। 

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে হওয়া এই বৈঠক শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইরানের বাড়তে থাকা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা হ্রাস।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানান, আমার মনে হচ্ছে আমরা আলোচনার রূপরেখার খুব কাছাকাছি এসেছি। যদি আগামী সপ্তাহে একটি ভিত্তিমূলক সমঝোতা সম্ভব হয়, তাহলে তা হবে একটি বড় অগ্রগতি।

তিনি আরও বলেন, আলোচনা শান্তিপূর্ণ ও ইতিবাচক পরিবেশে হয়েছে। আলোচনার মূল লক্ষ্য হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানো, বন্দী বিনিময়, এবং কিছু সীমিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে আনা।

আরাকচি জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদের পর এই প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসেছে ইরান। উৎপাদনশীল, শান্তিপূর্ণ এবং ইতিবাচক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভেন উইক এবং ওমানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আনা এসক্রোগিমার সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচির এ আলোচনা ‘খুবই গঠনমূলক’ হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এ বিষয়গুলো অত্যন্ত জটিল। তবে বিশেষ দূত উইটকফের সরাসরি যোগাযোগ পারস্পরিক উপকারে পৌঁছানোর পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’ উভয় পক্ষ আবার শনিবার (২৬ এপ্রিল) ফের আলোচনায় বসবে।

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, কোনো সমঝোতা না হলে ইরানে সামরিক অভিযানও হতে পারে। এর মধ্যেই এ আলোচনা নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে। ওমান এর আগেও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়