
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। তারা দুই শতাধিক আসনের জন্য ১-৬ প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত করেছে। এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে মনোনীত একক প্রার্থীকে নির্দেশ দেয়া হবে। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে গণসংযোগে নামবেন।
দীর্ঘ ১০ বছর পর খালেদা জিয়া সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে যাচ্ছেন। দলীয় সূত্রে এমন ইঙ্গিত মিলেছে। তার মাঠে নামা মানেই কর্মীদের মধ্যে নতুন প্রাণ সঞ্চার হবে। খালেদা জিয়ার নির্বাচনী সফরের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জাপান থেকে একটি বুলেটপ্রুফ মিনিবাস আনা হচ্ছে। তার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিবেচনা করে এ যানবাহনটি তৈরি করা হয়েছে। যানটির আমদানির জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে নথি জমা দিয়েছে বিএনপি। এ মিনিবাসে চেয়াপারসনের সঙ্গে চিকিৎসক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা থাকবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আসনে আসনে বিরোধ মেটানো হয়েছে। এরপর একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। একক প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে বহিষ্কার করা হবে।
একসময়ের জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী এখন বিএনপির প্রতিপক্ষ। জামায়াতও প্রার্থী ঘোষণা করে গণসংযোগ শুরু করেছে।
বিএনপি এবার একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে সময় নিয়েছে। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণসম্পৃক্ততা আছে এমন প্রার্থী বাছাই করা কঠিন। তাড়াহুড়ো করে প্রার্থী ঘোষণা করলে দল দুর্বল বলে মনে হতে পারে। প্রতিটি আসনে গড়ে দলের চারজন প্রার্থী মাঠে ছিলেন।
আরও পড়ুন>>>বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বিএনপি নেতারা সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। যেসব আসনে বিদ্রোহী প্রার্থীর আশঙ্কা আছে, সেখানে তফসিল পর্যন্ত কৌশল বজায় থাকবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, মনোনয়নের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে- দক্ষ সংগঠক, আন্দোলনে ভূমিকা, সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা, জনপ্রিয়তা, প্রবীণ ও নবীনের সমন্বয়ে এবারের তালিকায় চমক থাকবে বলেও আভাস দেয়া হয়েছে।
যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য আসন ছাড়ের বিষয়টিও দ্রুত শেষ করতে চায় বিএনপি। মিত্রদের কাছে তালিকা চাওয়া হয়েছে। ভোটে জেতার মতো প্রার্থী থাকলে সর্বোচ্চ ৫০টি আসনে ছাড় দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে। তবে এখনই তা ঘোষণা করবে না দলটি। সমঝোতার জন্য তফসিল পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে।
ঢাকার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রচারণার সূচি তৈরি হচ্ছে। ভ্রমণপথ ও জনসভাস্থল নির্ধারণের কাজ চলছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই খালেদা জিয়ার নির্বাচনী যাত্রার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
প্রাথমিকভাবে ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়া প্রার্থী হতে পারেন। শারীরিক অবস্থার কারণে সশরীরে প্রচারণায় অংশ নিতে না পারলে, প্রযুক্তির সহায়তায় তিনি প্রচারণায় অংশ নেবেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়া ম্যাডামের নিজের সিদ্ধান্ত। শারীরিকভাবে সক্ষম হলে তিনি অবশ্যই মাঠে নামবেন।
তারেক রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বড় অবদান রেখেছেন। অসুস্থ হলেও শারীরিক সক্ষমতা থাকলে উনি নির্বাচনে কিছু না কিছু ভূমিকা রাখবেন। তবে সেটা নির্বাচনে অংশগ্রহণ হবে কিনা, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।