ফাইল ছবি
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ আসামির বিরুদ্ধে রায়ের জন্য আগামী ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ দিন ধার্য করেন।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এসব অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের অভিযোগ, পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা যেসব প্লট নিয়েছেন, সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার ছিল না। দুর্নীতি ও মিথ্যা হলফনামা দিয়েই এসব প্লট নিয়েছেন তারা।
শেখ হাসিনা ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন— সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, নায়েব আলী শরীফ, সাইফুল ইসলাম সরকার, কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও শহীদ উল্লা খন্দকার।
আরও পড়ুন<<>>গুমের মামলায় শেখ হাসিনার আইনজীবী পান্না
মামলার নথিপত্র অনুযায়ী, ঘটনার শুরু হয়েছিল গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর, যখন দুদক এ প্লট বরাদ্দের অনিয়ম তদন্ত শুরু করে। তদন্তে সংস্থাটি জানতে পারে, পূর্বাচল নতুন শহরের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের আশপাশে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের নামে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এরমধ্যে শেখ হাসিনার নামে ১০ কাঠার প্লট (প্লট নম্বর ৯) রয়েছে, যা রাজউক তাকে ২০২২ সালের ৩ আগস্ট বরাদ্দপত্র দেয়। সজীব ওয়াজেদ জয়ের (প্লট নম্বর ১৫) বরাদ্দপত্র ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর হয় এবং ১০ নভেম্বর মালিকানা-সংক্রান্ত রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বরাদ্দপত্র দেয়া হয় ২০২২ সালের ২ নভেম্বর। শেখ রেহানার নামে ১০ কাঠার প্লট (প্লট নম্বর ১৩) বরাদ্দ আছে। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের প্লট নম্বর ১১ এবং আজমিনা সিদ্দিকের প্লট নম্বর ১৯। প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুদক তাদের বিরুদ্ধে পৃথক ছয়টি মামলা করে।
চলতি বছরের ১০ মার্চ ছয় মামলায় ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করে দুদক। পরে ৩১ জুলাই থেকে ঢাকার চতুর্থ ও পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।





































