Apan Desh | আপন দেশ

‘ফ্যাসিবাদী সাংবাদিকদের জন্ম দিয়েছিলেন বিগত সরকার’

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:০০, ২০ জুন ২০২৫

‘ফ্যাসিবাদী সাংবাদিকদের জন্ম দিয়েছিলেন বিগত সরকার’

জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ

ফ্যাসিবাদী সাংবাদিকদের জন্ম দিয়েছিলেন বিগত সরকার। এ মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছিল সাংবাদিকরা।

শুক্রবার (২০ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জবিসাস) কর্তৃক আয়োজিত 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা' শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন শফিকুল ইসলাম।

জবিসাসের ১৯তম বর্ষপূর্তী উপলক্ষে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।

জামায়াতের এ নেতা বলেন, ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছিল যে সাংবাদিকরা। সেই সাংবাদিকরাই আবার ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছেন। হাসিনাকে যে সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন কোটা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা পাবে না তো রাজাকারেরা পাবে। তাকে ধন্যবাদ দিয়ে বলতে চাই, তিনি প্রশ্ন করে শুধু ফ্যাসিবাদের পতনই করেন নাই, নতুন এক বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন।

আরওপড়ুন<<>>জবিতে বিশ্বজিৎ দাসের নামে হল রাখার আহবান রাশেদের

জবি ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক সহাবস্থানের প্রসংশা করে মাসুদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে গেইট দিয়ে ঢুকতে গেলে, অন্যান্য দলের ছাত্রনেতারা ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিতে গেলে ছাত্রলীগ নামক কলঙ্কের কাছে হামলার শিকার হতো। অনুমতি নিতো হতো। কিন্তু আজ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রবেশ করেছি। একই মঞ্চে বক্তব্য দিয়েছি, শিবির,ছাত্রদল ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠন একই মঞ্চে আছে। এটা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য রোল মডেল। এজন্য আমি জবির শিক্ষকদের যারা এ পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাই। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশের মধ্যে নয়, সারা বিশ্বে মডেল হবে। গণতন্ত্র ও সহাবস্থানের মডেল হবে।

সেমিনারে প্রধান অতিধির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সম্প্রতি আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে করা কার্টুন নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার দিয়েছেন। এ ঘটনা ফ্যাসিবাদ পরবর্তী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে একটি নজির হয়ে থাকবে।

জবিসাসের সভাপতি ইমরান হেসাইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরি এ্যানি, জামায়োতে ইসলামীর ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, গণঅধিকার পরিষদ নেতা রাশেদ খান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি মুহা. নিজামুল হক নাঈম, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের আহবায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ন আহবায়ক মনিরা শারমিন ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেত্ববৃন্দ।

সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন  সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়