ছবি: সংগৃহীত
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ হওয়া প্রায় দেড় যুগ। কেবল মাত্র আইসিসি ও এসিসির বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি দুই দেশ। সেসব ম্যাচে ভারতের জয়ের পাল্লাই ভারী। এ বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানকে হ্যাটট্রিক পরাজয়ের মালা পড়িয়েছিল ভারত।
কাতারের দোহায় চলমান রাইজিং স্টার এশিয়া কাপে তার বদলা নিলো পাকিস্তানের যুবারা। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি লড়াইয়ে হেরে গেল ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ভারত ‘এ’ দল। জবাব মাজ সাদাকাতের ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে পাকিস্তান শাহিন্স বা ‘এ’ দল।
রোববার (১৬ নভেম্বর) রাতে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল ভারত। উবেদ শাহের প্রথম বলেই চার মেরে শুরুটা ভালো করেছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। পরের ওভারে শাহিদ আজিজকে একটি চার এবং একটি ছয় মারেন। ভালো শুরু পেয়ে যায় ভারত। এরপরই শুরু হয় উইকেট হারানোর পালা। চতুর্থ ওভারে শহিদ তুলে নেন ওপেনার প্রিয়াংশ আর্যকে (১০)।
এরপর বৈভব চেষ্টা করছিল বড় শট খেলার। সুফিয়ান মুকিম দশম ওভারে তুলে নেন ভারতের ওপেনারকে। মুকিম খেলেছিলেন এশিয়া কাপেও। তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভারতকে বড় ধাক্কা দেয় পাকিস্তান। পাঁচটি চার এবং তিনটি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৪৫ করে সাজঘরে ফেরেন বৈভব।
আরও পড়ুন<<>>নারী কাবাডি বিশ্বকাপের ট্রফি উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
বৈভবের আগেই আউট হয়ে যান নমন ধীরও। তিনি ছ’টি চার এবং একটি ছয়ের সাহায্যে ২০ বলে ৩৫ রান করেন। বৈভব ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতের ইনিংস। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। পরের দিকে নেমে হর্ষ দুবে (১৯) কিছুটা চেষ্টা করলেও ভারত বড় রান করতে পারেনি। ১৯ ওভারের মধ্যে ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতের যুবারা।
পাকিস্তানের জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৭ রান, যা তাদের কঠিন ছিল না। ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ১৪ রান তুলে নেয় পাকিস্তান। পঞ্চম ওভারে গুরজপনীত সিংহ ১৮ রান দেন। পাকিস্তানের বোলাররা যেখানে নিয়ন্ত্রিত বল করছিলেন, সেখানে ভারতের বোলারদের লাইন-লেংথের কোনো ঠিক ছিল না।
পাকিস্তানের অর্ধশতরানকারী ব্যাটার মাজ সাদাকাতের ক্যাচ দু’বার পড়েছে। এক বার ০ রানে, এক বার ৫৩ রানে। শেষ ক্যাচটি খুবই সহজ ছিল, যা ফেলে দেয় বৈভব। তবে দশম ওভারে যে বিতর্ক হয়েছে তা ছাপিয়ে গিয়েছে বাকি সব কিছুকেই। সে সাদাকাতই ম্যাচ জিতিয়ে দেন। সাতটি চার এবং চারটি ছয়ের সাহায্যে ৪৭ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ভারতের হয়ে একটি করে উইকেট যশ এবং সুযশের।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































