বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়ক
ওয়ানডে সিরিজে জয়ের ধারাবাহিকতা টি-টোয়েন্টিতে বজায় রাখতে পারেনি বাংলাদেশ দল। কুড়ি ওভারের সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে পিছিয়ে পড়েছে স্বাগতিক দল। ফলে সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের সামনে। টিকে থাকার লড়াইয়ে বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় ক্যারিবীয়দের মুখোমুখি হচ্ছে লিটন দাসের দল।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচ যে উইকেটে হয়েছিল, সেটাই প্রস্তুত করা হয়েছে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির জন্য। আগে থেকে প্রস্তুত রাখা আরেক উইকেট তো তৈরিই। কোন উইকেটে খেলা হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
তবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে, বুধবারও রাতে শিশিরের প্রভাব থাকবে। ১৬ রানে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয় পাওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রভম্যান পাওয়েল বলেছিলেন, তাদের ধারণার চেয়ে বেশি শিশির পড়েছিল শেষ দিকে এবং সে সময় ব্যাটিং সহজ হয়ে গিয়েছিল। পরের দুই ম্যাচে ব্যাপারটা তাদের মাথায় থাকবে।
ক্যারিবিয়ানদের শিশির যতটা ভাবাচ্ছে তার চেয়ে বাংলাদেশকে অনেক বেশি ভাবাচ্ছে নিজেদের ব্যাটিং। আগের ম্যাচে প্রথম ৬ ব্যাটসম্যানের মিলিত রান ছিল কেবল ৬২! প্রথম ৫ উইকেটে কোনো ২০ রানের জুটিও গড়তে পারেনি স্বাগতিকরা!
তাদের চেয়ে অনেক সাবলীল ছিলেন লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। তানজিম হাসান, নাসুম আহমেদরা একটা সময় ক্ষীণ আশাও জাগাতে পেরেছিলেন। এমনকি শেষ জুটিতে তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানও রান পান।
বোলিংয়ে শুরুটা ভালো করে বাংলাদেশ, বেশি উইকেট নিতে না পারলেও ১৭তম ওভার পর্যন্ত বেশি রান করতে দেয়নি তারা। কিন্তু ৭ রানে জীবন পাওয়া পাওয়েলের শেষের ঝড়ে ১৬০ ছাড়িয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ৩ ওভারে সফরকারীরা যোগ করে ৫১ রান।
আরও পড়ুন<<>>১১৫০ ফুট উচ্চতায় স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা সৌদির
সেদিন ফিল্ডিংও ততটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। হাতছাড়া হয়েছে রান আউটের সুযোগ, হাত থেকে ছুটেছে ক্যাচ। দিতে হয়েছে এসবের চড়া মাশুল। ১৬৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১২ ওভারে ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও শেষের লড়াই ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি।
সিরিজে সমতা আনতে হলে ব্যাটারদের কাছ থেকে বড় ইনিংসের প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। প্রথম ম্যাচ শেষে লিটন বলেন, আমি মনে করি তারা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) প্রথম ১০ ওভারে সত্যি ভাল ব্যাটিং করেছে। উইকেট ধীর গতির ছিল। আমরা যদি শুরুতে উইকেট নিতে পারতাম তাহলে চাপে থাকত তারা।
তিনি আরও বলেন, শেষ ওভার ছাড়া পুরো ম্যাচে আমরা সত্যিই ভাল বোলিং করেছি। আমরা এ ম্যাচে যা ভুল করেছি এসব থেকে দ্রুত আমাদের শিক্ষা নিতে হবে এবং পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
এর বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাপ্তির অভাব নেই। ব্যাটিংয়ে শেরফেন রাদারফোর্ড ছাড়া আর যারাই নেমেছেন, অবদান রেখেছেন। দুই ওপেনার আলিক আথানেজ ও ব্র্যান্ডন কিং ভালো শুরু এনে দিয়েছেন, পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি গড়েছেন। শেষ দিকে দারুণ জুটি গড়েছেন শেই হোপ ও পাওয়েল।
দ্বিতীয় ম্যাচের আগের দিন মঙ্গলবার ঐচ্ছিক অনুশীলনে সেন্টার উইকেটে অনুশীলন করেছেন খ্যারি পিয়ের ও আথানেজরা। মাঠের এককোনের নেটে ব্যাটিং করেছেন কিং, রাদারফোর্ড, জেডেন সিলসরা।
টানা সাত সিরিজ হারার পর জয়ে ফেরার সুযোগ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে। নিজেদের সবশেষ সিরিজে সহযোগী দেশ নেপালের বিপক্ষে হেরে যাওয়া ক্যারিবিয়ানরা মরিয়া ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙার জন্য।
টি-টোয়েন্টির আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে প্রতিশোধ নিতে চায় ক্যারিবীয়রা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ বলেন, যখন পরিকল্পনাগুলো কাজে লাগে তখন সব কাজই সহজ হয়ে যায়। বিশেষ করে অধিনায়ক হিসেবে।
তিনি আরও বলেন, সব কৃতিত্ব ছেলেদের। প্রথম ম্যাচে সব বিভাগেই ভাল খেলেছে তারা। এমন পারফরমেন্স ও ফলাফল দেখে আমি খুশি।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































