
ফাইল ছবি
ইসলামে বিয়ের পদ্ধতি হলো, দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে এক পক্ষ ইজাব করেন বা প্রস্তাব দেন, আরেক পক্ষ গ্রহণ করেন বা কবুল করেন- এভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। সাধারণত বিয়ের ইজাব বা প্রস্তাব করা হয় কনেপক্ষের তরফ থেকে আর বর প্রস্তাব কবুল করেন।
শরিয়তের নিয়ম অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক কনের সম্মতি ছাড়া বিয়ে হয় না। বিয়ের সময় তার সম্মতি নেয়া জরুরি। সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিমে সংকলিত একটি বর্ণনায় এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, কোন বিধবা নারীকে তার স্পষ্ট সম্মতি বা নির্দেশনা ছাড়া বিয়ে দেয়া যাবে না। কুমারী নারীকে তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দেয়া যাবে না। সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল কীভাবে অনুমতি নেবো? রাসুল (সা.) বললেন, তার চুপ থাকাটাই অনুমতি গন্য হবে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
হাদিসে পূর্ববিবাহিতা বা বিধবা কনে ও কুমারী কনের সম্মতির ক্ষেত্রে পার্থক্য করা হয়েছে। যেহেতু পূর্ববিবাহিতা কনে বিয়ের ব্যাপারে মতামত দিতে সংকোচ করেন না, তাই তার স্পষ্ট নির্দেশনা ছাড়া বিয়ে হবে না। কুমারী কনে যেহেতু এ সব ব্যাপারে কথা বলতে, মতামত দিতে লজ্জা পান, তাই তার বিরোধিতা না করা বা মৌনতাই সম্মতি গণ্য হবে। অভিভাবক পাত্রের বিস্তারিত জানিয়ে কনের মতামত জিজ্ঞাসা করবেন, কনে যদি হাসেন বা চুপ করে থাকেন, বোঝা যায় তার অমত নেই, তাহলে তা তার সম্মতি গণ্য হবে।
কিন্তু পূর্ববিবাহিতা বা কুমারি কারো ক্ষেত্রেই বিয়েতে সম্মতি জানাতে ‘কবুল’ বলা জরুরি নয় বা কবুল বলার প্রয়োজনও নেই। অভিভাবক কনের সম্মতি নিয়ে দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে নিজে বা যিনি বিয়ে পড়াবেন তার মাধ্যমে প্রস্তাব দেবেন, বর ‘কবুল করলাম’ বললে বিয়ে হয়ে যাবে।
এখনকার অনেক বিয়েতে কনেকে সাক্ষীদের সামনে এনে তিনবার কবুল বলানো হয়। এতে তিনি লজ্জায় পড়েন, তার পর্দাও নষ্ট হয়। এটা অপ্রয়োজনীয় ও নতুন উদ্ভাবিত রীতি। বিয়ের মজলিসে কনেপক্ষের পক্ষ থেকে প্রস্তাবের পর বরের একবার ‘কবুল করলাম’ বলাই যথেষ্ট।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।