Apan Desh | আপন দেশ

জুলাই সনদের পর ভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে: নাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ৫ জুন ২০২৫

আপডেট: ২১:১৭, ৫ জুন ২০২৫

জুলাই সনদের পর ভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে: নাহিদ

ফাইল ছবি

জাতীয় নাগরিক পার্টি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, একটি টেকসই গণতান্ত্রিক পথ কেবলমাত্র জনআকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এ মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেছেন, পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে ‘জুলাই সনদ’-এর প্রণয়ন ও প্রকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সনদ শুধুমাত্র একটি নীতিগত দলিল নয়। বরং জুলাই আন্দোলনে যারা রাস্তায় নেমে পরিবর্তনের স্বপ্নে প্রাণ দিয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতাও বটে।

নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বুধবার (০৫ জুন) দুপুরে ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিষয়ে আলোচনা করতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। 

নাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেন, এ ‘জুলাই সনদ’জুলাই আন্দোলনের  নির্বাচন সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক অংশগ্রহণের একটি সুস্পষ্ট ভিত্তি স্থাপন করবে। ভবিৎসত রাজনীতির পথপ্রদর্শক হিসাবে কাজ করবে। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছে—এ প্রেক্ষাপটে এনসিপি সরকারের পদক্ষেপ ও অন্যান্য রাজনৈতিক পক্ষগুলোর কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আশা করছে, ‘জুলাই সনদ’-এর প্রণয়ন ও ঘোষণার প্রক্রিয়া আর বিলম্বিত না হয়ে যথাযথ আন্তরিকতার সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে  বাস্তবায়িত হবে। যাতে শহীদদের আত্মত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণতা পাবে।

নির্বাচন কমিশনের কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন তিনি। এনসিপি প্রকৃত অর্থে স্বাধীন ও দল-নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের দাবির পুনরুল্লেখ করে—যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনবিশ্বাস ও আস্থা পুনঃস্থাপন করবে। একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং পরবর্তীতে একটি গণপরিষদ ও আইনসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির কথা জানান। সব পর্যায়ের জনগণের অংশগ্রহণ ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহি নিশ্চিত হবে বলেও আশা নাহিদের। 

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, এনসিপি প্রতিনিধি দলের সামগ্রিক রাষ্ট্র ভাবনাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। তাদের চিন্তাশীল অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি চীনের ‘অ-হস্তক্ষেপ’ (নন-ইন্টারফেয়ারেন্স) নীতির পুনরুল্লেখ করেন। বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতার ব্যাপারে চীনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

রাষ্ট্রদূত রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে ধারাবাহিক ও গঠনমূলক সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বাংলাদেশের ভবিষ্যত গঠনে তরুণদের ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন। 

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুব আলম এবং যুগ্ম সদস্য সচিব তাহসীন রিয়াজ। দুপক্ষই পারস্পরিক বোঝাপড়া, সম্মানজনক সংলাপ এবং কৌশলগত সহযোগিতার ভিত্তিতে গণতন্ত্র, দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়