Apan Desh | আপন দেশ

এবার পশ্চিম তীর দখলের বিল অনুমোদন ইসরায়েলি পার্লামেন্টে 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৪৩, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১১:২৫, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

এবার পশ্চিম তীর দখলের বিল অনুমোদন ইসরায়েলি পার্লামেন্টে 

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধ বিরতির মধ্যেই এবার পশ্চিম তীর দখলের প্রস্তুতি শুরু করলো দখলদার ইসরায়েল। ইহুদিবাদী দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব আরোপের বিলের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। যা কার্যত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলের (অ্যানেক্সেশন) সমান এবং আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে বিবেচিত।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি পার্লামেন্ট ‘নেসেট’ দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব আরোপের একটি বিতর্কিত বিলের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। এটি কার্যত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড সংযুক্তিরই সমান এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার দল লিকুদ এ বিলের বিরোধিতা করলেও মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ১২০ সদস্যের কনেসেটে ২৫-২৪ ভোটে বিলটি প্রাথমিকভাবে পাস হয়। আইন হিসেবে কার্যকর হওয়ার জন্য এটি আরও চার দফা ভোটের প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ।

কনেসেটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিলটি “ইসরায়েল রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ইয়াহুদা ও শোমরন (পশ্চিম তীর) এলাকায় প্রয়োগের” জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত হয়েছে। এখন বিলটি আরও আলোচনার জন্য কনেসেটের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটিতে যাবে।

আরও পড়ুন<<>>দুর্নীতির দায়ে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট কারাগারে

এ ভোটটি এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হয়, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক মাস আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তিনি ইসরায়েলকে দখলকৃত পশ্চিম তীর সংযুক্ত (অ্যানেক্স) করতে দেবেন না। ভোটের দিনই যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থিতিশীল করতে ইসরায়েল সফর করছিলেন।

লিকুদ এক বিবৃতিতে এ ভোটকে “বিরোধী দলের উসকানি, যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে” বলে অভিহিত করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সত্যিকারের সার্বভৌমত্ব কাগুজে প্রদর্শনীমূলক কোনো আইনের মাধ্যমে নয়, বরং মাটিতে বাস্তব কাজের মাধ্যমেই অর্জিত হবে।

দখলকৃত পশ্চিম তীর সংযুক্ত করা হলে কার্যত ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে- যা জাতিসংঘের প্রস্তাবনাগুলোর মূল ভিত্তি।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়