
মোহাং নূরুল হুদা।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন ফেরি করছেন। তখন দুর্নীতি দমন কমিশনে হচ্ছে কী? এক চিঠিতেই ৯ ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারী প্রতিষ্ঠান মালিকদের দায়মুক্তির সুপারিশ করেছেন প্রমোটি উপ-পরিচালক মোহাং নূরুল হুদা। তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে গত ১৪ মে দেয়া হয় এ দায়মুক্তি। দায়মুক্তির সুপারিশের পরই দুদকের ‘টপ টেন’ দুর্নীতিবাজদের একজন এই নূরুল হুদার ফাইল উঠেছিল পদোন্নতি সুপারিশ কমিটিতে। অবশেষে সেই নুরুলহুদাসহ চারজনকে পরিচালকে পদোন্নতি দিল কমিটি।
প্রশ্নবিদ্ধ প্রমোশন
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) চার উপপরিচালককে পরিচালক পদে প্রমোশন দিতে সুপারিশ করেছে পদোন্নতি সংক্রান্ত বোর্ড। চার জনের মধ্যে রয়েছেন বিতর্কিত নুরুল হুদা, রফিকুল ইসলাম, হেলাল শরীফ ও ফজলুল হক। দুদক জুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার ডিমোশনের বদলে প্রমোশনের পেছনে হয়েছে টাকার অঙ্কের খেলা। এতেকরে দুদকের ভারমূর্তি ক্ষুন্ন ছাড়া উন্নতি হবার কোনো সুযোগ থাকছে না। অন্যান্য সংস্কারের মতোই দুদকের সংস্কার না আনলে দুর্নীতি প্রতিরোধের ডাক শুধু কাগুজেই থেকে যাবে।
অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান যখন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে সঙ্গে নিয়ে পাচারের টাকা ফেরাতে বিশ্বের নানাপ্রান্তে দৌড়-ঝাঁপ করছেন, তখন খোদ দুদকই দিয়েছে এ দায়মুক্তি। আর এ দায়মুক্তির নেপথ্যে রয়েছে প্রভাবশালীদের ইশারা আর কোটি কোটি টাকার লেনদেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন ফেরি করছেন। এ মুহূর্তে এ ধরণের দায়মুক্তি দুদকের গ্রহণযোগ্যতাকেই শুধু প্রশ্নবিদ্ধ করবে না, সরকারের সদিচ্ছা নিয়েও দেখা দেবে সংশয়।
নজরানার বিনিময়ে দুর্নীতিবাজদের দায়মুক্তির খবর শোনা যেতো পলাতক শেখ হাসিনার মাফিয়া সরকারের সময়। তখনও এ মোহাং নূরুল হুদাদের ছিলো পোয়াবারো। এখন সেটি ১২ ঘর পেরিয়ে যেন ষোলোকলা পূর্ণতা পেয়েছে। এ কর্মকর্তা এখন আরো মরিয়া। আরো বেপরোয়া। আর সেই বেপরোয়ার ‘পুরষ্কার’ স্বরূপ কমিশন ভাবছে তাকে পদোন্নতি দেয়ার। বর্তমান কমিশন হয়তো উপ-পরিচালক মোহাং নূরুল হুদাকে ‘সৎ’, ‘দক্ষ’ ও ‘অভিজ্ঞ’ কর্মকর্তা বলেই জানেন। হয়তো তারপক্ষে সাফাইও গাইবেন। কিন্তু সেগুনাবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের প্রতিটি ইট-পাথর জানে মোহাং নূরুল হুদা কী!
দুর্নীতির দু-একটি নমুনা
তার সর্বশেষ দুর্নীতির দু-একটি নমুনা দেয়া যাক। ঋণের নামে রূপালি ব্যাংক থেকে ১৪২ কোটি ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চট্টগ্রামের জাহাজ ভাঙ্গা প্রতিষ্ঠান ‘মাবিয়া শিপ ব্রেকার্স লিমিটেড’। অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ‘ঋণ খেলাপি’ হিসেবে নিলামে ওঠে প্রতিষ্ঠানটির বন্ধকী সম্পত্তি। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মৌজায় ৩১ তফসিলে মোট ১ হাজার ৮৩ শতাংশ জমিসহ স্থাপনা বন্ধক রাখা হয়। এটির মালিক সীতাকুণ্ডের জাহানারাবাদের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। ‘ঋণ’ মঞ্জুর এবং বৃহৎ এ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে শেখ হাসিনার মাফিয়া সরকার আমলে। তখন রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন হাসিনা-ঘনিষ্ট দুর্নীতিবাজ ব্যাংকার আতাউর রহমান প্রধান। সরকারি অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগটি দীর্ঘদিন ধরে ‘অনুসন্ধান’ করছিলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আরও পড়ুন<<>> ন্যাশনাল লাইফের চেয়ারম্যান মোরশেদ, ছেলে সাইফুল, ভাই জসিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সর্বশেষ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয় সংস্থাটির বিতর্কিত, প্রমোটি ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হিসেবে বহুল পরিচিত উপ-পরিচালক মোহাং নূরুল হুদাকে। তিনি ব্যাংক থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে দেয়া ঋণ সংশ্লিষ্ট বিপুল নথিপত্র সংগ্রহ করেন। নথি ধরে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করেন রূপালী ব্যাংকের কয়েক ডজন কর্মকর্তাকে। নোটিসের পর পর নোটিস দিয়ে তিনি তাদের হাজির করেন দুদকে। কিন্তু ফলাফল শূন্য। অর্থ আত্মসাতের প্রামাণ্য দলিল হাতে পেয়েও মামলা রুজুর পরিবর্তে সুপারিশ করেন নথিভুক্তির। এ সুপারিশের ভিত্তিতে কমিশন ১৪ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎকারী মাবিয়া শিপ ব্রেকার্স লিমিটেড’র মালিক জাহাঙ্গীর আলমকে দায় মুক্তি দেয়। গত ১৪ মে দায়মুক্তির চিঠিতে স্বাক্ষর করেন কমিশনের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) মীর মো: জয়নুল আবেদীন শিবলী।
একইভাবে রূপালি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সুদাসলে ১৪৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে শফিক স্টিল লিমিটেড’। প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো: শফিকুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রাম চন্দনাইশের বাসিন্দা। প্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে তিনি সীতাকুণ্ড মৌজার ১১টি তফসিলে ৯২২ শতাংশ জমি বন্ধক রাখেন। খেলাপি হয়ে পড়ায় সম্পত্তি নিলাম করে অর্থ ঋণ আদালত। কিন্তু বন্ধকী সম্পত্তি অতিমূল্যায়নের মাধ্যমে ঋণ দেয়ায় সম্পত্তি বিক্রি করেও উঠে আসেনি আত্মসাৎকৃত অর্থ। এ অভিযোগটিরও অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মোহাং নূরুল হুদা।
দীর্ঘ অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় যথারীতি ঋণের নথিপত্র সংগ্রহ করেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের তলবি নোটিস করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ফলাফলে মামলার পরিবর্তে অনুসন্ধান প্রতিবেদনে করেন ‘নথিভুক্তি’র সুপারিশ। তার সুপারিশের ভিত্তিতে কমিশন দায়মুক্তি দেয় ১৪৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাৎকারী শফিকুল ইসলাম। এ দায়মুক্তির চিঠিটিতেও স্বাক্ষর করেন চট্টগ্রাম নিবাসী একই মহাপরিচালক।
দুই প্রতিষ্ঠান মিলে মাত্র ২শ’ ৮৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকাই নয়। এ দুটি দায়মুক্তি পুরো ঘটনার চূড়া মাত্র। পুরো ঘটনা আরো ভয়াবহ। হাসিনার লুটপাটতন্ত্রের অন্যতম হোতা রূপালী ব্যাংকের তৎকালিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আতাউর রহমান প্রধানের সময়কালিন এমন অন্তত: ৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলার পরিবর্তে ‘নথিভুক্তি’র সুপারিশ করেন উপ-পরিচালক নূরুল হুদা। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, মেসার্স ইনডেক্স পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি লিমিটেড, কাগুজে প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স তুরাগ এগ্রিটেক লিমিটেড, মেসার্স গাজীপুর পেপার বোর্ড লিমিটেড, মেসার্স ক্রিস্টাল, শফিক স্টিলের কাছে পাওনা প্রায় ১৪৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর পাওনা আদায়ে উভয় প্রতিষ্ঠানের বন্ধকি সম্পদ নিলামে উঠছে।
দুই শ’ ৮৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে
রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকে খেলাপি হলো দুই জাহাজ ভাঙা প্রতিষ্ঠান মাবিয়া শিপ ব্রেকার্স ও শফিক স্টিল। এ দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকটির মতিঝিল করপোরেট শাখার পাওনা ২৮৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে মাবিয়া শিপ ব্রেকার্সের কাছে পাওনা প্রায় ১৪২ কোটি সাত লাখ টাকা ও শফিক স্টিলের কাছে পাওনা প্রায় ১৪৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর পাওনা আদায়ে উভয় প্রতিষ্ঠানের বন্ধকি সম্পদ নিলামে উঠছে।
রূপালী ব্যাংক লিমিটেড সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের দুই জাহাজ ভাঙা প্রতিষ্ঠান মাবিয়া শিপ ব্রেকার্স ও শফিক স্টিল শুরুতে পাওনা পরিশোধে নিয়মিত থাকলেও পরে তারা অনিয়মিত হয়ে পড়ে। পাওনা আদায়ে একাধিকবার তাগাদা দিলেও প্রতিষ্ঠান দুটির কর্ণধাররা প্রত্যেকবার পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হন। ফলে সুদাসলসহ তাদের কাছে ব্যাংকের পাওনা দাঁড়িয়েছে ২৮৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
পাওনা আদায়ে উভয় প্রতিষ্ঠানের বন্ধকিতে থাকা সব সম্পত্তি নিলামে বিক্রির তারিখও নির্ধারণ করেছিল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে সীতাকুণ্ডের জাহানারাবাদ এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মালিকানাধীন মাবিয়া শিপ ব্রেকার্সের সীতাকুণ্ড মৌজায় ৩১ তফসিলে মোট এক হাজার ৮৩ শতাংশ জমিসহ সব স্থাপনা এবং চন্দনাইশের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন শফিক স্টিলের চন্দনাইশ ও সীতাকুণ্ড মৌজায় ১১টি তফসিলে মোট ৯২২ শতাংশ জমিসহ সব ধরনের সম্পত্তি আছে।
আরও পড়ুন<<>> অর্থ ফেরসহ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে স্যাংশনের দাবি
সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের জাহানারাবাদ এলাকার জাহাঙ্গীর আলম, ফরিদুল আলম ও খোরশেদ আলম এ তিন সহোদর ২০০৮ সালে পর একে একে গড়ে তোলেন মেসার্স জিলানী ট্রেডার্স, মাহিম স্টিল রি-রোলিং মিল, মাবিয়া শিপ ব্রেকার্স, মাবিয়া শিপ ব্রেকার্স ইউনিট-২, এফএমএস ইস্পাত শিপ ব্রেকিং, আলী স্টিল এন্টারপ্রাইজ এবং খাজা আজমীর করপোরেশনের সমন্বয়ে গড়ে তুলে মাবিয়া গ্রুপ। সময়ের সঙ্গে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে থাকে। কিন্তু তাদের অদূরদর্শী প্রকল্প গ্রহণ, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও ব্যবসায়িক অনভিজ্ঞতার ইত্যাদি বিবেচনা না করে দ্য সিটি ব্যাংক, এবি ব্যাংক, মাকেন্টাইল ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি ব্যাংকের পাওনা প্রায় ৪০০ কোটি টাকা, যা এখন গলার কাঁটা হয়ে আছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন করে সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটির পাওনা প্রায় ১৬১ কোটি টাকা। একইভাবে এবি ব্যাংকের পাওনা ১১৭ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১২১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এছাড়া মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ১০৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। মাবিয়া শিপ ব্রেকিংয়ের কাছে ফিনিক্স ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টেরও ৯ কোটি টাকার বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে। এর বাইরে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, যমুনা ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি ব্যাংকের অর্থও মাবিয়া গ্রুপের কাছে আটকে আছে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন<<>> খালেদা জিয়াকে হয়রানি: দুদকের সাবেক চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে মামলা
অভিযোগ রয়েছে, কখনও ভুয়া সম্পত্তি বন্ধক রেখে, কখনও বন্ধকি সম্পত্তির অতি মূল্যায়ন করে চারটি শাখা থেকে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় গ্রুপটি। অর্থ হাতিয়ে নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে-ইনডেক্স পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি লিমিটেড, তুরাগ এগ্রিটেক্স লিমিটেড, গাজীপুর পেপার্স বোর্ড লিমিটেড, শফিক স্টিল, মাবিয়া শিপ ব্রেকার্স, ক্রিস্টাল শিপ ব্রেকার্স, নাসিব এন্টারপ্রাইজ, জেনারেটর হাউজ ও এসআরএস শিপ ব্রেকার্স। প্রতিষ্ঠানগুলোর হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ৯ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ বিষয়ে জানতে প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের ব্যবহৃত নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে মন্তব্য পাওয়া যায়নি। একদিকে মাবিয়া গ্রুপের এক কর্মকর্তা বলেন, মূলত ২০১০ সালের পর এ গ্রুপের ধস নামে। এখন তেমন বাণিজ্যিক কার্যক্রম নেই। মালিকরাও তেমন আসেন না। তবে মাঝে মাঝে কয়েক ঘণ্টার জন্য আসেন। শুনেছি ব্যাংকের অনেক দেনা আছে।
দায়মুক্তি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোহাং নুরুল হুদা এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি তদন্ত করেছিমাত্র। এ বিষয়ে আমি কথা বলতে পারি না। সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশনের। আর কমিশনের পক্ষে কথা বলবে মিডিয়া উইং।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।