
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের করুর শহরে তামিলাগা ভেটরি কাজাগম (টিভিকে) দলের সভাপতি ও অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের জনসভায় পদদলিত হয়ে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে প্রায় ১০০ জন। ওই ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন অভিনেতা-রাজনীতিক বিজয়। পাশাপাশি নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ লাখ রুপি যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭ লাখ ৩৮ করে দেয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। এছাড়া আহতদের জন্য ২ লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তার দেবেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিজয় থালাপতি তার রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেত্রি কাজাগামের (টিভিকে) এক্স হ্যান্ডেলে আবেগঘন বার্তায় লিখেছেন, আমার হৃদয়ের বেদনা প্রকাশের মতো ভাষা নেই। যাদের স্নেহ ও ভালোবাসা আমি অনুভব করেছি, তাদের মুখ বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। এ অপূরণীয় ক্ষতিতে আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং পরিবারের একজন সদস্যের মতো আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।
তিনি লিখেছেন, প্রিয়জন হারানোর যন্ত্রণা কোনো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তবু পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি প্রতিটি মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ২০ লাখ রুপি এবং আহতদের ২ লাখ রুপি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। এ অর্থ কোনোভাবেই সে অপূরণীয় ক্ষতির সমান নয়, তবে এটি আমার কর্তব্য। বিজয় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বলেন, আমাদের দলের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসায় সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমরা যেন দ্রুত এ শোক কাটিয়ে উঠতে পারি।
আরওপড়ুন<<>>পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ৩৯, থালাপাতিকে গ্রেফতার দাবি
তবে এ ট্র্যাজেডির পরও এখনও সমাবেশে নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি এ অভিনেতা-রাজনীতিক।
অভিযোগ উঠেছে, বিজয়ের নির্বাচনী প্রচারের এ সভায় হঠাৎ রোডশো ও পুলিশের শর্ত ভঙ্গের ঘটনা ঘটে। এদিকে, তামিলনাড়ু সরকার নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ও আহতদের ১ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিজনদের জন্য ২ লাখ রুপি এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তামিলনাড়ুর করুর জেলায় প্রায় ২৭ হাজার মানুষ ওই সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন। যদিও আয়োজকদের প্রাথমিক অনুমান ছিল প্রায় ১০ হাজার জনের। বিজয়ের সাত ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছানোয় ভিড়ের চাপ বেড়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত পদদলিতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, যথেষ্ট খাবার ও পানির ব্যবস্থা ছিল না।
তামিলনাড়ুর ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ জি ভেঙ্কটরামন স্বীকার করেছেন, এত বড় সমাবেশে মাত্র ৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুতর ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়। মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন ইতিমধ্যে করুরে পৌঁছে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরুণা জগদেসানের নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।