ছবি : আপন দেশ
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টানা এক সপ্তাহ ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হিমালয় থেকে আসা ঠান্ডা বাতাস ও হাড়কাঁপানো শীতে চরম ভোগান্তিতে আছে শ্রমজীবী মানুষ। মাঠে-ঘাটে কাজ করতে গিয়ে তারা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৭১ শতাংশ।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেদিন বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৭৪ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার। ওই দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন<<>>মুক্তিযুদ্ধের ‘কল্পকাহিনি’ ৯০ ভাগ মিথ্যা: আমির হামজা
১৫ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৮৯ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিনগুলোতেও শীতের প্রকোপ ছিলো স্পষ্ট।
দিন ও রাতের তাপমাত্রার বড় পার্থক্য, উত্তরের শীতল বাতাসের প্রবাহ এবং বাতাসে আর্দ্রতার তারতম্যের কারণে শীতের অনুভূতি কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ। হাড়কাঁপানো শীতে জীবিকার তাগিদে মাঠে-ঘাটে কাজ করতে গিয়ে তারা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অনেককে রাস্তাঘাট, বাড়ির সামনে কিংবা চা-স্টলের পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, বুধবার সকাল ৯টায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর থেকে তেঁতুলিয়ায় টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































