ছবি : আপন দেশ
আজ ৭ নভেম্বর, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এ দিনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও সাধারণ মানুষের যৌথ উদ্যোগে সংঘটিত হয় জাতীয় বিপ্লব, যা অরাজকতা ও অনিশ্চয়তার সময় অতিক্রম করে দেশে নতুন যাত্রার সূচনা করে। সেদিন রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। উদযাপিত হয় সে ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যার পরপরই রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
ওইদিন জাতি আবারও শুনেছিল তার কণ্ঠ—‘আমি জিয়া বলছি।’ মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে স্বাধীনতার আহ্বান শোনানো সেই কণ্ঠে আবারও ভেসে আসে আশ্বাস ও আশা। মুহূর্তেই জেগে ওঠে ১৯৭১-এর মুক্তির প্রেরণা; স্বস্তির নিঃশ্বাসে মুখরিত হয় দেশ।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লব ও বিজয়ের মিছিল ছড়িয়ে পড়ে। সৈনিক ও সাধারণ মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উচ্চারণ করেছিল—‘সিপাহী-জনতা ভাই ভাই’, ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’, ‘মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান জিন্দাবাদ’, ‘সিপাহী-জনতা এক হও।’
আরও পড়ুন<<>>জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
ইতিহাসের এ দিনটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে চিহ্নিত হয়। পরবর্তীতে “জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস” নামে পরিচিতি পায়। এবার সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে দিনটি।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকাল ৬টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় প্রতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল ১০টায় দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মী সাবেক রাষ্ট্রপতি শহিদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।
এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনতার ঢল নামে। তারা গভির শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বরণ করেন জিয়াউর রহমানকে। সকাল থেকেই দলে দলে ছুটে আসেন মাজারে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































