
ছবি : আপন দেশ
মানবজাতির কলঙ্ক হাসিনা কোনো ক্ষমা নেই, তার বিচার হবেই-এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধি প্রাঙ্গণে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা সবুজ পল্লবে স্মৃতি অম্লান’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল ও আমরা বিএনপি পরিবার। এ সময় প্রত্যেক শহীদের নামে মাজার প্রাঙ্গণে একটি করে নিম গাছ লাগানো হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ছাত্র-জনতা ঘোষণা দিয়েই জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। সেজন্য বিএনপির লক্ষ্য হচ্ছে সত্যিকার অর্থে একটি উদারপন্থী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করা। তারা নতুন বাংলাদেশ চায়, যেখানে দুর্নীতি, ঘুষ, খুন, হত্যা ও নির্যাতন থাকবে না। মানুষ স্বাধীনভাবে বাঁচবে।
নির্বাচন নিয়ে তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন দেবেন। এছাড়াও গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকলে সবাইকে নিয়েই ‘রেইনবো নেশন’ গঠন করতে চায় বিএনপি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, যে ছেলেটাকে দেখে আমি স্বপ্ন দেখেছি, আমার পরিবার স্বপ্ন দেখেছে আমার ভবিষ্যতের। সে ছেলেটাকে ওরা কেড়ে নিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে মর্মান্তিক ও নিধারুণভাবে। তাকে গুলি করে মেরেছে, পড়ে গিয়েছে তারপর একটি ভ্যানের মধ্য ওঠিয়েছে। বেঁচে আছে নাকি মরে গিয়েছে সেটা না দেখে আরও কয়েকটি লাশ ওঠিয়েছে, পরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন<<>>দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম: প্রধান উপদেষ্টা
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ করেছি একটা স্বাধীন দেশের জন্য। সে দেশের পুলিশ প্রশাসন রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাদের বেতন আমার আপনার ট্যাক্সের টাকায় হয়। তারা আজকে আমার ছেলেকে আমার সন্তানকে পুড়িয়ে মারছে হত্যা করছে। কী নির্মম-পাশবিক।
এমন নিষ্ঠুর ও অমানবিকতার জন্য হাসিনাকে কখনো ক্ষমা করা যাবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, হাসিনাকে কোনদিন ক্ষমা করা যাবে না। হাসিনা মানবজাতির কলঙ্ক। হাসিনা মায়েরদের কলঙ্ক। আমাদের প্রথম কাজ হবে এদের বিচার করা। দ্বিতীয় কাজ হবে শহীদ পরিবারদের পুনর্বাসন করা। যারা আহত হয়েছে তাদের উন্নত চিকিৎসা দিয়ে পুনর্বাসন করা। এটা না হলে ভবিষ্যত জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না।
এ সময় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জারিফ তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, আমরা বিএনপি পরিবারের আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।