Apan Desh | আপন দেশ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপিল বিভাগের রায় আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮:৩৫, ২০ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ০৮:৩৮, ২০ নভেম্বর ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপিল বিভাগের রায় আজ

ছবি : আপন দেশ

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আপিল বিভাগের রায় ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবারের (২০ নভেম্বর)। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। রায়ে জানা যাবে, ১৪ বছর আগে বাতিল ঘোষণা করা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আদৌ ফিরছে কি না, ফিরলেও কী আঙ্গিকে ফিরবে, কবে থেকে ফিরবে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আপিল বিভাগের বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় বিষয়টি রায় ঘোষণার জন্য শীর্ষে রাখা হয়েছে। 

এর আগে গত ১১ নভেম্বর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে ২০ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হয়। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন। 

টানা ১০ দিন শুনানি শেষে দেশের সর্ব্বোচ আদালত ঐতিহাসিক এ মামলার রায়ের দিন ঠিক করেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের অন্য ৬ সদস্য হলেন— বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া, বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহামদ শিশির মনির। ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ, ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

আরও পড়ুন<<>>হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে জাতিসংঘ প্রতিবেদনের ঐতিহাসিক স্বীকৃতি

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের প্রত্যাশা, চতুর্দশ সংসদ নির্বাচন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার সম্ভাব্য কার্যকারিতা রেখে আপিল মঞ্জুর করে রায় দেবেন সর্বোচ্চ আদালত। সে রকম রায় হলে চতুর্দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে কার্যকর হবে কাঙ্ক্ষিত এ সরকারব্যবস্থা। 

১৪ বছর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় দিয়েছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। রায়ে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অর্থাৎ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী আইন অগণতান্ত্রিক এবং তা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ফলে তা বাতিলযোগ্য। তবে প্রয়োজনের নিরিখে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

এ রায় ঘোষণার সাত দিন পর অর্থাৎ ১৭ মে অবসরে যান এ বি এম খায়রুল হক। অবসরে যাওয়ার প্রায় ১৬ মাস পর ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।

তখন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে রায় পরিবর্তনের অভিযোগ ওঠে। পূর্ণাঙ্গ রায় থেকে ‘তবে প্রয়োজনের নিরিখে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে পারে।’ এ পর্যবেক্ষণ বাদ দেয়া হয়। পরে এ পূর্ণাঙ্গ রায়কে আশ্রয় করে দলীয় সরকারের অধীনে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকেছিলেন শেখ হাসিনা।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ
SS Power

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়