Apan Desh | আপন দেশ

আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও ২৩৮ ভেনেজুয়েলানকে নির্বাসনে পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ১৭ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১২:১৬, ১৭ মার্চ ২০২৫

আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও ২৩৮ ভেনেজুয়েলানকে নির্বাসনে পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

আদালতের আদেশ অমান্য করে দুই শতাধিক ভেনেজুয়েলার নাগরিককে এল সালভাদরে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রোববার (১৬ মার্চ) সকালে একটি সামরিক বিমান তার দেশে অবতরণ করে। এতে ২৩৮ জন ভেনেজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাং ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’র সদস্য এবং ২৩ জন আন্তর্জাতিক গ্যাং এমএস—১৩এর সদস্য ছিল।

এর কয়েক ঘণ্টা আগে মার্কিন একটি আদালত জোর করে অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এর পরেও তাদেরকে নির্বাসিত করলো যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপের আগে ফেডারেল বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ ১৭৯৮ সালের ‘অ্যালিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট’ ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাসন কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ নির্বাসন চুক্তিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে নজিরবিহীন এবং ব্যতিক্রমী অভিবাসন ব্যবস্থা’ বলে উল্লেখ করেছেন। এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তিদের এক বছরের জন্য এল সালভাদরের সন্ত্রাসবিরোধী বন্দিশিবির সিইসিওটিতে রাখা হবে। তবে পরবর্তীতে এ সময় বাড়ানো হতে পারে।

এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এদের জন্য খুব সামান্য পরিমাণ অর্থ দেবে, তবে আমাদের জন্য এর মূল্য অনেক বেশি।

আরও পড়ুন<<>>গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ৪৮ হাজার ৫৭০ ছাড়িয়েছে

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নির্বাসিত গ্যাং সদস্যদের এল সালভাদরে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলের প্রশংসা করে বলেন, তিনি আমাদের অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা।

এদিকে এ পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে ভেনেজুয়েলা। দেশটি বলেছে, এ যুদ্ধকালীন আইন প্রয়োগ অভিবাসীদের অপরাধী হিসেবে চিত্রিত করছে।

এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হাত ও পা শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় সশস্ত্র কর্মকর্তারা বিমান থেকে নামানো বন্দিদের নিয়ে যাচ্ছেন। কিছু বন্দিকে সাঁজোয়া গাড়িতে তোলা হয়, অন্যদের মাথা নিচু করে বাসে উঠতে বাধ্য করা হয়।

ভিডিওতে এল সালভাদরের আলোচিত মেগা-জেল সিইসিওটির ভেতরে বন্দিদের নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যও দেখানো হয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার বন্দি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এ উচ্চ-নিরাপত্তার কারাগার বুকেলের অপরাধ দমন পরিকল্পনার অন্যতম অংশ। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো এটিকে বন্দিদের অমানবিক নির্যাতনের কেন্দ্র হিসেবে বর্ণনা করেছে। সূত্র : বিবিসি

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়