Apan Desh | আপন দেশ

খালে মিলল মডেলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ১৭ জুন ২০২৫

আপডেট: ১৬:০৯, ১৭ জুন ২০২৫

খালে মিলল মডেলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ

মডেল শীতল

শুটিংয়ে বেরিয়ে নিখোঁজ হন ভারতীয় মডেল শীতল। ওই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে হরিয়ানার সোনিপাতের একটি খাল থেকে শীতলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ করে পুলিশ। এদিকে, এ ঘটনায় ওই মডেলের কথিত প্রেমিক সুনীলকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশের ধারণা, গলাকেটে শীতলকে খুন করা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (১৪ জুন) শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন ওই মডেল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের পরেও শীতল বাড়ি না ফিরলে পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এরপর রোববার উদ্ধার হয় তার মরদেহ। পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তে জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

পানিপথের খালিলা মাজরা গ্রামের বাসিন্দা শীতল মডেলিংয়ের পাশাপাশি মিউজিক ভিডিওর কাজও করতেন। এর আাগে তিনি কর্ণালের একটি হোটেলে কাজ করতেন। পরিচিত ছিলেন সিমি চৌধুরী নামেও।

টাইমস অব ইন্ডিয়া থেকে জানা যায়, এ ঘটনায় শীতলের কথিত প্রেমিক সুনীলকে আটক করেছে পুলিশ। সিমির পরিবারের দাবি, সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও সুনীল বারবার তাকে হুমকি দিতেন এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন।

আরওপড়ুন<<>>হাডসন তীরে উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন রুনা খান

পুলিশ জানিয়েছে, শীতলের হাতে ও বুকে উল্কিচিত্র ছিল। এসব চিহ্ন দেখে পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করেন। শীতলকে সোনিপাত জেলার খারখোদার রিলায়েন্স খাল থেকে উদ্ধার করা হয়।

নিহতের বোন নেহা পুলিশকে জানান, শনিবার রাতে ভিডিও কলে শীতল জানিয়েছিলেন, তিনি আহার গ্রামে একটি অ্যালবাম শুটিংয়ে গিয়েছেন। প্রেমিক সুনীল সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে মারধর করছেন এবং জোর করে নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইছেন। কথার মাঝখানে কল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর থেকেই শীতলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

নেহার ভাষ্য অনুযায়ী, শীতলের সঙ্গে সুনীলের পরিচয় হয় ছয় মাস আগে। তখন শীতল একটি হোটেলে কাজ করতেন। পরে জানা যায়, সুনীল বিবাহিত ও তার দুই সন্তানের জনক। এরপর শীতল হোটেল ছেড়ে মডেলিংয়ে মনযোগ দেন। কিন্তু সুনীল তার পিছু ছাড়েননি। রোববার সকালে পানিপথ জেলার একটি খাল থেকে সুনীলের গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার (১৬ জুন) পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়।

সোনিপাতের সহকারী পুলিশ কমিশনার অজিত সিং জানান, শীতলের পরিবার শনিবারই নিখোঁজ ডায়েরি করেন। যা পানিপথের উরলানা কালান পুলিশ পোস্টে নথিভুক্ত হয়। তদন্তের ধারাবাহিকতায় সোমবার খারখোদা এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের বর্ণনার সঙ্গে মিল পাওয়ায় সেটি শীতলের মরদেহ বলে শনাক্ত করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। শীতলের পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের বক্তব্য, সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ার পর থেকেই শীতল হুমকির মুখে ছিলেন।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়