Apan Desh | আপন দেশ

বিনোদন তারকাদের কেন রাজনীতিতে আগ্রহ? 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:০৬, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বিনোদন তারকাদের কেন রাজনীতিতে আগ্রহ? 

ছবি : সংগৃহীত

এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হতে মড়িয়া শোবিজ তারকারা। অনেকেই বলছেন বাংলাদেশের ইতিহাসে তা রেকর্ড। আর এর সবই আওয়ামী লীগের কোটায় থাকা সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য। 

গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৫ জন তারকাশিল্পী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এদের মধ্যে আছেন লাকী ইনাম, সুবর্ণা মুস্তাফা, রোকেয়া প্রাচী, তানভিন সুইটি, তারিন জাহান, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, মাহিয়া মাহী, মেহের আফরোজ শাওন. শমি কায়সার, সোহানা সাবা, সৈয়দা কামরুন নাহার শাহানূর, শামিমা তুষ্টি, শিমলা ও ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর প্রমুখ।

রাজনীতির ময়দানে তারকাদের নজরকাড়া উপস্থিতি নতুন নয়। দেশ-বিদেশে শোবিজ তারকারা রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন অনেকে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কিও সিনেমায় কমেডি চরিত্রের অভিনেতা ছিলেন।

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যেসব শোবিজ তারকা রাজনীতিতে এসেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, লোকগানের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী মমতাজ, মিয়াভাই খ্যাত ফারুক। এ ছাড়া বিশিষ্ট অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম, মঞ্চসারথী আতাউর রহমান, লিয়াকত আলী খান লাকী, আজিজুল হাকিম, জায়েদ খান, চয়ন ইসলাম, রফিকুল আলম, শুভ্র দেব, ফাল্গুনী হামিদ, ডলি সায়ন্তনী প্রমুখ।

রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন নাট্যাভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা, শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী, দিলারা ইয়াসমিন, অঞ্জনা সুলতানা, ফারহানা আমিন রত্না ওরফে নূতন, অরুণা বিশ্বাস, তারিন জাহান, চিত্রাভিনেতা ডিপজল, শাকিল খান প্রমুখও।

নতুন যারা রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ হয়ে আছেন- ফেরদৌস আহমেদ, শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, মাহিয়া মাহী, জ্যোতিকা জ্যোতি, সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

আরও পড়ুন <> শাবনূরের পরপর সিনেমা, নায়ক কে?

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খানও বিএনপিতে সক্রিয় ছিলেন। পরে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। তবে আরেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর এখনো মোটামুটি সক্রিয়। এ ছাড়া বিএনপির হয়ে আরও একাধিক শোবিজ তারকা নিজেদের নামভুক্ত করেছেন : চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, চিত্রাভিনেতা আহমদ শরীফ, হেলাল খান, রিনা খান, চিত্রাভিনেত্রী মৌসুমী, কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা, রিজিয়া পারভীন, ব্ল্যাক ডায়মন্ড খ্যাত বেবী নাজনীন, নাজমুন মুনিরা ন্যান্সী প্রমুখ। এদের কেউ অবশ্য তোপে পড়েও নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন।

এ ছাড়া প্রথমে আওয়ামী এবং পরে জাতীয় পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে সক্রিয় ছিলেন চিত্রনায়ক সোহেল রানা (মাসুদ পারভেজ), জাতীয় পার্টির হয়ে ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মাইলসের প্রধান ভোকাল শাফিন আহমেদ।

অনেকেই বলছেন, এ দেশে বরবরই দেখা গেছে, যখন যে দল ক্ষমতায় আসে সেই দলের সঙ্গে তারকারা ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলছেন। দল যখন ক্ষমতায় না থাকে তখন তারা রাজনীতি থেকে সরে পড়েন বা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। এর কারণ শোবিজের তারকারা রাজনীতিতে নাম লেখালেও দলের কর্মীদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেন না- যা দলের নীতি ও আদর্শেরও পরিপন্থি। দলীয় দু-একটা কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তারা চেহারা দেখান আর আদায় করে নেন নানা রকম সুবিধা। আর যখন ক্ষমতার পটরিবর্তন ঘটে সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভোলও পাল্টে যায়।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়