Apan Desh | আপন দেশ

জবিতে দুই শিক্ষককে মারধর: তদন্ত কমিটির আহবায়কের পদত্যাগ

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:১৩, ১৩ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৬:১৫, ১৩ জুলাই ২০২৫

জবিতে দুই শিক্ষককে মারধর: তদন্ত কমিটির আহবায়কের পদত্যাগ

ছবি: আপন দেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষকের ওপর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও এক সদস্য পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারীরা হলেন- তদন্ত কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন ও সদস্য অধ্যাপক ড. রইছ উদদীন।

রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আমি নিজেই তো বিচারপ্রার্থী, আমি কিভাবে তদন্ত কমিটিতে থাকি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। সেজন্য তদন্ত কমিটিতে আমার থাকা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এখন আমি ও আমার ভুক্তভোগী শিক্ষকের হয়ে কথা বলতে পারছি।

ওই শিক্ষক বলেন, আমার সামনে যে ঘটনা ঘটেছে, আমি নিজেই এটার বিচার চাই।

জানা যায়, এ ঘটনায় জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রইছ উদদীন পদত্যাগ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.সাবিনা শরমীন ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.গিয়াসউদ্দিনকে স্থলাভিষিক্ত করে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আরওপড়ুন<<>>‘ছাত্রদল ক্ষেপলে গুপ্ত বাহিনী পালানোর জায়গা পাবে না’

এদিকে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ওই দুই শিক্ষকের ওপর ছাত্রদলের হামলায় বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়। আজ সকাল থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে দ্রুত বিচারের দাবিতে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিভাগীয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।

এদিন বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘যেই হাত শিক্ষক মারে, সে হাত ভেঙে দাও’, ‘ছাত্রদলের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘এক দুই তিন চার, অছাত্ররা ক্যাম্পাস ছাড়’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ম্যানেজমেন্টের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘জবি প্রশাসন, লজ্জা লজ্জা’ এসব স্লোগান দেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ অ্যাকাডেমিক ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

এ সময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম রক্ষা করতে গেলে তাদেরকে গালিগালাজ ও হামলা করে ছাত্রদলের নেতকর্মীরা। একই সঙ্গে শাখা বাগছাস সভাপতি, মুখ্য সংগঠক ও যুগ্ম-আহবায়ক- মো. ফয়সাল মুরাদ,  ফেরদৌস হাসান এবং ফারুককে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে তাদের হামলা-মারধর শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়