
উপদেষ্টা ফারুক ই আজম
‘আমি মুক্তিযোদ্ধা, আমার জন্য সেফ এক্সিট নয়, আমি এ দেশেই থাকব’। এভাবেই সাংবাদিকদের কাছে সেফ এক্সিট নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
রোববার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, রোগ হওয়ার পর চিকিৎসা নয়, আগে থেকেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। দেশের শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। টাইফয়েডের মতো প্রাণঘাতী রোগ প্রতিরোধে সরকারের এ উদ্যোগ ঐতিহাসিক।
আরও পড়ুন>>>এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়া সম্ভব নয়: সিইসি
তিনি বলেন, দেশের শিশুদের টাইফয়েড থেকে সুরক্ষা দিতে আজ থেকে প্রথমবারের মতো টাইফয়েডের টিকা দেয়া শুরু হচ্ছে। এক মাসব্যাপী এ কর্মসূচিতে সরকার ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুরা বিনামূল্যে এ টিকা পাবে। পাশাপাশি জন্মসনদ নেই এমন শিশুদেরও এ টিকা দেওয়া হবে।’
টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার, রেঞ্জ ডিআইজ মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউল মুনীর ও বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, বরিশাল বিভাগে প্রায় ২৬ লাখ ১৪ হাজার শিশুকে এ টিকার আওতায় আনা হবে। ১২ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও ১ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে এ টিকা দেয়া হবে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে এ টিকা। যা সরকার পেয়েছে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন সহায়তা সংস্থা গ্যাভির সহযোগিতায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত এ টিকা নেপাল, পাকিস্তানসহ আটটি দেশে সফলভাবে ব্যবহার হয়েছে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।