
ছবি: আপন দেশ
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) তাদের চাওয়া ‘শাপলা’ প্রতীক দেয়া সম্ভব নয়। এ কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সিইসি চট্টগ্রামে ছিলেন। সেখানে সার্কিট হাউজে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সভা হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকেরা এনসিপি’র শাপলা প্রতীক নিয়ে প্রশ্ন করেন। সিইসি উত্তরে জানান, নির্বাচন কমিশনের প্রতীকের একটি নির্দিষ্ট তালিকা আছে। কোনো নতুন দল নিবন্ধন পেলে সে তালিকা থেকেই প্রতীক নিতে হয়। শাপলা প্রতীকটি বর্তমানে কমিশনের তালিকায় নেই। এ কারণে এনসিপিকে তা দেয়া যায়নি। আইন অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত প্রতীক থেকেই নিতে হবে।
সিইসি আরও জানান, নির্বাচন কমিশন যেকোনো সময় তাদের প্রতীকের তালিকা বাড়াতে বা কমাতে পারে। আগে তাদের তালিকায় ১১৫টি প্রতীক ছিল না, যা পরে যোগ করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে এখন এক করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন>>>‘নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হবে’
তাহলে শাপলা নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত কী, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা আমি এখন বলতে চাই না, আমাদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে রাজনীতিবিদরা জানেন। বিশেষ করে এনসিপি নেতারা আমাদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। আমি কোনো শঙ্কিত নই, ইলেকশনে পার্টিসিপেশনের বিষয়ে আমি পুরোপুরি কনফিডেন্ট। আপনারা ওয়েট করেন, আপনারা দেখবেন। শাপলা প্রতীক নিয়ে এখনই কোনো জবাব আমি দিতে চাই না। এটা নিয়ে কমিশনে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রতীক নিয়ে এনসিপি’র কঠোর অবস্থান নিয়েও সিইসি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এনসিপি’র নেতৃত্বে যারা আছেন, তারা ২০২৪ সালের আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তারা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাধা দেবেন বলে তিনি মনে করেন না। তিনি তাদের কম দেশপ্রেমিক ভাবতে চান না। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অভ্যুত্থানে যোগ দিয়েছিলেন। সিইসি’র বিশ্বাস, তারা দেশের মঙ্গল চান ও সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে রাজি হবেন।
রাজনীতিতে ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’ বলে কিছু নেই বলে সিইসি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারেন, যা কমিশনের পক্ষে আইন মেনে করা সম্ভব নয়। সিইসি আশা করেন, এনসিপি নেতারা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসবেন ও সবাই নির্বাচনে অংশ নেবেন।
এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন, নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ এবং চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমদ।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।