Apan Desh | আপন দেশ

আজ ভারতকে হারাতে চায় বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:০৮, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১১:১০, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আজ ভারতকে হারাতে চায় বাংলাদেশ

ফাইল ছবি

দীর্ঘ আট বছর পর মাঠে গড়িয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) করাচিতে স্বাগতিক পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যেকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠেছে আইসিসির এ বৈশ্বিক আসরের। শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে আয়োজকরা। হার দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে গত আসরের সেমিফাইনালিস্ট বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সাবেক চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি হবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। যে কোনো মুল্যে জয় দিয়ে শুরু করতে চান নাজমুল হাসান শান্তরা। ম্যাচপুর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, জয়ে শুরু করা যে কোন সময় একটা ধারাবাহিকতা এনে দেয়। ভারতের বিপক্ষে অবশ্যই জয়ে শুরু করা আমাদের লক্ষ্য। আপনি দেখবেন এই ফরম্যাটে দল হিসেবে আমরা যথেষ্ট ভারসাম্যপূর্ণ। তাই আমরা বিশ্বাস করি নিজেদের দিনে যে কোন দলকে হারাতে পারি। এ আসরের সব দলই একে অপরকে হারানোর সামর্থ্য রাখে।

ভারতকে হারানোর স্বপ্ন অতীত অভিজ্ঞতা থেকেই দেখছেন শান্ত। ওয়ানডেতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সবশেষ লড়াই ২০২৩ বিশ্বকাপের পুনেতে। ওই ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে ব্যর্থ হয় সাকিব আল হাসানের দল। তার আগে মুখোমুখি হওয়া তিন ম্যাচের সিরিজে ভারতকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এছাড়া এশিয়া কাপের আরও একটি জয় মিলিয়ে ওয়ানডেতে সবশেষ ৫ দেখায় তিনবার জয়ের সাফল্য আছে। অতীত সাফল্য শান্তকে আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে তবে নতুন ম্যাচে নতুন পরিকল্পনায় সফল হওয়ার চেষ্টা তার।

আইসিসি আসরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জয়ের পাল্লা হালকা। ২০০৭ বিশ্বকাপের ওই স্মরনীয় জয় ছাড়া আর সাফল্য আসেনি। এছাড়া দুবাইতে ভারতের বিপক্ষে সাফল্যও নেই। ২০১৮ এশিয়া কাপে দুই ম্যাচেই হার হজম করতে হয় বাংলাদেশকে।

আরও পড়ুন<<>>প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেলো পাকিস্তান

২০১৮ সালের বোলিং লাইন আপের চেয়ে দলের বর্তমান বোলিং বিভাগ বেশ শক্তিশালি। ব্যাটারদের চেয়েও এগিয়ে তাসকিন-সাকিবরা। দুবাইয়ের উইকেট পাকিস্তানের মতো নয়। এখানে বড় রান হবে তা বলা যায় না, বোলারদেরও দারুণ ভূমিকা থাকবে। ভারতকে হারাতে তাই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে বোলারদের জ্বলে ওঠার আশায় আছেন শান্ত।

বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, আমাদের দুবাই ও পাকিস্তান, দুই জায়গাতেই খেলতে হবে। মানিয়ে নেয়া ছাড়া উপায় নেই। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এটা আমাদের করতেই হয়। আশাকরি বোলাররা সেটা পারবে। যেহেতু বোলিং বিভাগটা আমাদের শক্তির জায়গা। আমরা আগে এত ভালো পেস বিভাগ পেতাম না কিন্তু গত কিছু বছরে এটাই আমাদের শক্তি। ওরা দ্রুত কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিলে ভারতের রান খুব বেশি হতে দেব না।

বোলিং বিভাগ নিয়ে বিশ্বাস থাকলেও নিকটঅতীতের ফল বাংলাদেশকে ভাবনায় ফেলছে। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর ১২ ওয়ানডে খেলে মাত্র ৪টিতে জিতেছেন শান্তরা। তাই বোলিং নিয়ে স্বস্তি থাকলেও ভারতের শাক্তিশালি ব্যাটিং লাইন ও সাম্প্রতিক দলীয় ফর্ম চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচ কঠিন করে তুলছে বাংলাদেশের জন্য। ঘরের মাঠে সদ্য ইংল্যান্ডকে সিরিজে হারানো ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ব্যাটিং শক্তি দিয়ে ৩৫০ এর কাছাকাছি রান করতে চান।

নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, এমন টুর্নামেন্টে প্রতি ম্যাচে বড় রান করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য শুরুর চার ব্যাটারের কারও বড় স্কোর করতে হবে। আমাদের শুরুর চার ব্যাটার যথেষ্ট অভিজ্ঞ, উইকেটে টিকলে ওরা বড় স্কোর করবে। ২০২৩ বিশ্বকাপে আমরা তা দেখিয়েছি। টপঅর্ডাররা বড় রান পেলে ৩৫০, ৩৩০ রান করা সম্ভব।

গত আসরের সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার টাইগারদের সামনে বদলা নেয়ার সুয়োগ। শান্তরা সে সুযোগ কতটুকু কাজে লাগাতে পারেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়