
ফাইল ছবি
বিশ্ব এক নতুন প্রযুক্তিগত পর্বে প্রবেশ করেছে। যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানুষের জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে। এক সময় গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ থাকা এ প্রযুক্তি এখন আমাদের শিক্ষা, পেশা ও দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে।
বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে—এআই কি মানুষের কাজ কেড়ে নেবে? এর সুনির্দিষ্ট উত্তর ভবিষ্যতের হাতে থাকলেও একটা বিষয় স্পষ্ট যারা এখন থেকেই নিজেদের প্রস্তুত করছেন এআই তাদের জন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে।
অটোমেশনের ফলে কিছু প্রচলিত পেশা হারিয়ে যেতে পারে। কিন্তু প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন কাজের চাহিদা দ্রুতই বাড়ছে। এআই প্রম্পট ডিজাইন, মেশিন লার্নিং, ডেটা অ্যানালাইটিকস বা এআই প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট—এ সব ক্ষেত্রে দক্ষ পেশাজীবীদের চাহিদা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে। বাংলাদেশও এ চাহিদা থেকে পিছিয়ে নেই।
শিক্ষার ধরনেও বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এখন আর সবাইকে একই উপায়ে শিখতে হয় না। শিক্ষার্থীর দুর্বলতা ও আগ্রহ অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরি করে দিচ্ছে এআই। কারো গণিত দুর্বল? এআই সে বিষয়ে বাড়তি সহায়তা দিচ্ছে। কারো ইংরেজি দুর্বল? মিলছে আলাদা সহায়তা।
বিশ্বমানের শিক্ষকদের ক্লাসে এখন দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে অংশ নেয়া সম্ভব হচ্ছে। শিক্ষার এমন গুণগত পরিবর্তন শুধু দক্ষ জনশক্তি তৈরি করছে না, বরং শিক্ষাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করছে।
চাকরিপ্রার্থী হোন বা পেশাজীবী, সবাইকে এখন প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। শুধু তথ্য জানা নয়—নতুন প্রযুক্তি শিখতে আগ্রহী হওয়া, সৃজনশীল চিন্তা করা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা গড়ে তোলা হবে আগামীর বাজারে টিকে থাকার মূল চাবিকাঠি।
এআইকে যদি প্রতিদ্বন্দ্বী না ভেবে সহযাত্রী হিসেবে নেয়া যায় তাহলে এটি আমাদের কাজ সহজ করবে, দক্ষতা বাড়াবে ও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যারা চলবেন তারাই আগামীর নেতৃত্ব দেবেন।
তাই এখনই সময় প্রস্তুতির। জ্ঞান, কৌশল আর মানসিকতা দিয়ে তৈরি হতে হবে এক নতুন ভবিষ্যতের জন্য—যেখানে এআই আমাদের প্রতিস্থাপন নয়, বরং সহযোগিতা করবে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।