
মোরশেদ আলম ও মো. জসিম উদ্দিন।
দুর্নীতির মামলায় আওয়ামী লীগের তিনবারের সংসদ সদস্য এবং বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পলায়ন এবং তার সরকার পতনের পর গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন মোরশেদ আলম। গত ৮ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশান নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
আরও পড়ুন<<>> বেনামি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে মোরশেদ আলমের শত শত কোটি টাকা পাচার
আজ (০৮ সেপ্টেম্বর) কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর পুলিশ প্রহরায় কাঠগড়ায় তোলা হয়। তার উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানোর শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৪ মে দুদকের উপ-পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এতে মোরশেদ আলমসহ তিনজনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন <<>> ন্যাশনাল লাইফের তদন্তে দুদক: ২১শ’ অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন, ৭১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ-পাচার
মামলার অপর দুই আসামি হলেন- মোরশেদ আলমের ছেলে বেঙ্গল কনসেপ্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল আলম এবং মোরশেদ আলমের ভাই বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন। তারা দুজনেই পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির এরিয়া অফিসের জন্য ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম ও তার ভাই মো. জসিম উদ্দিনের মালিকানাধীন জমি কেনায় কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট থাকায়, তা গোপন করে অস্বাভাবিক দামে কেনার মাধ্যমে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৬ হাজার ১৪৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি মোরশেদ আলম, তার দুই ছেলে, ভাই এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা বোর্ড মেম্বারদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। মোরশেদ আলমের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিও খোঁজে পেয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন<<>> ন্যাশনাল লাইফের সাড়ে চারশ’ কোটি টাকা মোরশেদের পেটে
নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, স্বৈরাচারের দোসর ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুকামনাকারী এ সংসদ সদস্যকে দুর্নীতির জাল থেকে মুক্ত করতে মাঠে নেমেছে বিএনপি ও জামায়াতের একাধিক নেতা। এরমধ্যে রয়েছেন বিএনপির আমলের একজন প্রতিমন্ত্রীর ভাই এবং দলটির কেন্দ্রীয় ও প্রভাবশালী নেতারা। জামায়াতের নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে তাদের সংগঠনের নেতার নাম মামলা থেকে বাদ দেয়ার করছেন।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।