Apan Desh | আপন দেশ

দেশজুড়ে প্রথমবার টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১:৩০, ১২ অক্টোবর ২০২৫

দেশজুড়ে প্রথমবার টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু

ছবি : আপন দেশ

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে ঢাকার আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে এ টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। এক মাসব্যাপী এ ক্যাম্পেইনে শিশুদের বিনামূল্যে ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, বলেন, টাইফয়েডে এখনও দেশের শিশুদের মৃত্যু হয়— এটা লজ্জার। বাংলাদেশ ডায়রিয়া, রাতকানাসহ অনেক রোগ প্রতিরোধ করেছে। এবার টাইফয়েড প্রতিরোধেও সফল হব ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, টাইফয়েড এমন একটি রোগ, যা সচেতনতা ও টিকাদানের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ কর্মসূচির মাধ্যমে মাধ্যমে আমরা যদি প্রতিটি শিশুর কাছে টিকা পৌঁছে দিতে পারি, তাহলে দেশে টাইফয়েডে মৃত্যুর ঘটনা কার্যত বন্ধ করা সম্ভব হবে। এ উদ্যোগ আমাদের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।

রোগ প্রতিরোধ করতে পারলে স্বাস্থ্যের ওপর চাপ কমানো যায় মন্তব্য করে নূরজাহান বেগম বলেন, আমাদের এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য রোগ প্রতিরোধ। যত বেশি মানুষ, বিশেষ করে শিশুদের প্রতিরোধমূলক টিকার আওতায় আনা যাবে, ততই হাসপাতালে ভিড় ও চাপ কমবে।

আরও পড়ুন<<>>স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি, অনিশ্চত টাইফয়েড ক্যাম্পেইন

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। তিনি বলেন, টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুধু একটি স্বাস্থ্য প্রকল্প নয়—এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বিশেষ করে নিম্নআয়ের পরিবারের শিশুদের জন্য এ উদ্যোগ একটি বড় পরিবর্তন আনবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, জন্মসনদ না থাকলেও কোনো শিশু বাদ যাবে না। সব শিশুকে টিকার আওতায় আনাই এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।

এ কর্মসূচিতে ব্যবহৃত টিকাটি সরবরাহ করেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট, আর সরকারের পক্ষ থেকে তা পেয়েছে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন সহায়তা সংস্থা গ্যাভি–র সহায়তায়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার সভাপতি আজমল হোসেন। এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর রানা ফ্লাওয়ার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. আহমদেম জামশেদ মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।

আপন দেশ/জেডআই

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়