
ছবি: আপন দেশ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর মরদেহ ভেসে ওঠার ঘটনায় সরকারের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে তদন্তের সুপারিশ করেছে প্রশাসনের গঠিত ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি।
রোববার (০৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহবায়ক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন।
কমিটির সদস্যরা জানান, ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি তাদের প্রতিবেদনে মৃত্যুর ঘটনায় কাউকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেনি। তবে সাজিদের মৃত্যু যে পানিতে ডুবে হয়নি সে বিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত হতে পেরেছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাজিদ আব্দুল্লাহ পানিতে ডুবে মারা গেছে, এমন ঘটনার কোনো শক্তিশালী প্রমাণ কমিটির হস্তগত হয়নি। এছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাজিদের ফুসফুস ও পাকস্থলীর ভেতরে পানি পাওয়া যায়নি। যা সে যে পানিতে ডুবে মারা যায়নি, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়।
আরওপড়ুন<<>>অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনকে লাল কার্ড বাকৃবি শিক্ষার্থীদের
এছাড়া যেদিন সাজিদকে সবশেষ দেখা গেছে, তার পরেও রাতে সাজিদের মোবাইলে কল দিলে তা রিসিভ হয়েছে বলে জানা গেছে। রিসিভ হওয়ার সময় একটি কলের লোকেশন ছিলো শেখপাড়া, বসন্তপুর এলাকায় এবং পরের কল রিসিভের টাওয়ার লোকেশন ছিলো বিজ্ঞান ভবনের আশপাশে। এতদ্রুত স্থান পরিবর্তনের বিষয়টিও ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির কাছে সন্দেহের উদ্রেক করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে তারা।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পরে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি তথ্য বিশ্লেষণ করেছি, যাচাই-বাছাই করেছি। কমিটির সদস্যরাও রাতদিন পরিশ্রম করে সাজিদের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করেছে। আমরা ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি ছিলাম, আমাদের কাজ ছিলো সাজিদের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত ফ্যাক্টসগুলো তুলে ধরা। আমরা সেটা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করতে পেরেছি। আমরা প্রশাসনের কাছে সুপারিশ করেছি, সরকারের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সাজিদের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর থেকে সাজিদের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পৃথক দুই কমিটি করা হয়। এরপর কয়েক দফায় মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি করেন।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।