
ছবি: আপন দেশ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতল গ্রামে নজরুল ইসলাম (৩৪) নামে এক জামায়াত নেতার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোবাবর (১৭ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রামের বাগুরার বিলের ধারে তার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত নজরুল ইসলাম নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রাম ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গ সংগঠনের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। তিনি উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের শীতল গ্রামের মৃত তোফজ্জল ইসলামের ছেলে।
পরিবারের লোকজন জানায়, নজরুল ইসলাম শীতল গ্রাম বাজারে একটি মনোহারি দোকানের পাশাপাশি বিকাশের ব্যবসা করতেন। তিনি মাঝে মধ্যই দোকানেই রাত কাটাতেন। পরিবারের লোকজন মনে করছেন শনিবার রাতে দোকানদারি শেষ করে তিনি ওখানেই ঘুমাইছেন।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে হাটাহাটি করার করা সময় লোকজন বিলের ধারে রাস্তার পার্শ্বে এক ব্যক্তিকে শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে সেখানে গিয়ে দেখেন গলাকাটা একটি মরদেহ পরে আছে। নিহতের পরিবার ও পুলিশকে তারা খবর দেয়।
আরও পড়ুন<<>>আবাসিক হোটেল থেকে ১০ তরুণীসহ ১৩ জন গ্রেফতার
নিহতের ছোট ভাই নাজিরুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই বিকাশের ব্যবসা করতেন। অনেক সময় অনলাইন জুয়ারু ও হ্যাকাররা অবৈধভাবে টাকা তুলতে আসত। তিনি এসব কাজে রাজি ছিলেন না। বেশ কয়েকদিন হলো তারা আমার ভাইকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। এরই জেরেই আমার ভাইকে গত রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার সময় গলাকেটে হত্যা করছেন।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় অনলাইন জুয়ারু ও হ্যাকারদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করলেই আমার ভাইয়ের হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত ছিল সহজেই বের হয়ে আসবে।
নাকাই ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বলেন, নজরুল ইসলাম সংগঠনের জন্য একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে পুলিশ। দ্রত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।