
অভিযুক্ত ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়
নেত্রকোণার দুর্গাপুরে পুলিশ ডেকে বন্ধুকে আটকে হোটেল কক্ষে ঢুকে তার বাগদত্তা (১৭) স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রদলের এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ফয়সাল আহমেদ দুর্জয় (২৬) জেলার দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক। সে উপজেলার চন্ডিগর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। ঘটনার পরই তাকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বিরিশিরি এলাকার এক রিসোর্ট থেকে অনৈতিক কাজে (ধর্ষণ) লিপ্ত থাকা অবস্থায় ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়কে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি মাহমুদুল হাসান আরও জানান, ঘটনার সময় রিসোর্টে দায়িত্বরত আরও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এ ছাড়া ভুক্তভোগীর হবু স্বামী ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী মো. মুন্না মিয়া ও ভুক্তভোগীসহ সবাইকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়ের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে ভুক্তভোগীর হবু স্বামী মুন্না মিয়া দুর্গাপুর ঘুরতে নিয়ে যান। পরে সন্ধ্যা হয়ে গেলে সেখানকার বিরিশিরি রিসোর্টে রুম ভাড়া নিয়ে রাত্রিযাপন করেন তারা। পরে মঙ্গলবার দুপুরে মুন্না ব্যক্তিগত কাজে শহরে যান। কিছুক্ষণ পর দরজায় শব্দ পেয়ে ভুক্তভোগী তার স্বামী এসেছেন ভেবে দরজা খুলেন। তখন তিনি ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়কে দেখতে পান। দুর্জয় তার হবু স্বামী মুন্নার বন্ধু হওয়ায় ভুক্তভোগীর পরিচিত ছিল। কথা বলার জন্য তখন দুর্জয় রুমের ভেতরে যান। কথা বলার এক পর্যায়ে দুর্জয় তাকে ঝাপটে ধরেন এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়কে মঙ্গলবার রাতেই বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রদল কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।