Apan Desh | আপন দেশ

নতুন মুখের জয়জয়কার, বঞ্চিতদেরও আশা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ৪ নভেম্বর ২০২৫

নতুন মুখের জয়জয়কার, বঞ্চিতদেরও আশা

ফাইল ছবি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রথম দফায় ২৩৭ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। বাকি ৬৩ আসনের প্রার্থীর নাম আসছে শিগগিরই। বিএনপির দেয়া প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক বোদ্ধা থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যেও।

তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবার নতুন মুখের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। পুরনোদের জায়গা থাকলেও বাদ পড়েছেন একাধিক হেভিওয়েট নেতা। নিজেদের পছন্দের নেতা মনোনয়ন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধসহ নানাভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। মনোনয়ন ভালো হয়েছে-তবে যোগ্য ও বাদপড়াদের কী হবে? বার জবাবও আসছে- যেহেতু ২/৪টি আসন ব্যতিত অন্যাগুলোতে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। সামনের সিদ্ধান্তও বাস্তবমুখি হবে।  

সোমবার (০৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তালিকা ঘোষণা করেন। এর আগে দলের স্থায়ী কমিটির সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

আরও পড়ুন<<>> বিএনপির ফাঁকা রাখা আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন যারা

ঘোষিত তালিকার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিএনপির পুরনো নেতাদের পাশাপাশি এবার এসেছে অনেক নতুন মুখ। ২৩৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮১ জন এবারই প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ১৫১ জন আগে কোনো না কোনো নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। বিএনপির নেতারা বলছেন, এটি প্রবীণ ও নবীনদের সমন্বয়ে গঠিত একটি ভারসাম্যপূর্ণ তালিকা।

তালিকায় রয়েছেন দলের প্রয়াত ও প্রবীণ নেতাদের সন্তান, স্ত্রী, তৃণমূল থেকে উঠে আসা কর্মী, সাবেক ছাত্রনেতা, চিকিৎসক, পেশাজীবী এবং প্রবাসী নেতারাও।

অন্যদিকে দলের প্রার্থী তালিকায় নেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও রফিকুল ইসলাম মিয়ার নাম। এ ছাড়া সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের মতো নেতার নামও বাদ পড়েছে।

দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের মধ্যে আব্দুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আসলাম চৌধুরী, আমিনুর রশীদ ইয়াসিন এবং ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও আসাদুজ্জামান রিপনের নামও তালিকায় আপাতত নেই।

আরও পড়ুন<<>> আ.লীগ-জামায়াত অঘোষিত আঁতাত

আগে থেকেই ‘এক পরিবারে একজন প্রার্থী’ নীতি কার্যকর ছিল। এ কারণে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমদ, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্ত্রী ও সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদকেও প্রার্থীর তালিকায় রাখা হয়নি। বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মেয়ে অপর্ণা রায়, পুত্রবধূ নিপুন রায় চৌধুরীও মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু দলের এ নীতির কারণে তারা প্রার্থী হতে পারেননি।

আলাপকালে বিএনপির নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের একজন নেতা আলাপকালে জানান, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সরকারের উচ্চকক্ষে আনুপাতিকহারে বিএনপি বেশকিছু ব্যক্তিকে যুক্ত করতে পারবে। সেখানে অনেকেরই জায়গা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এজন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বেশ ভরসা দিয়েই বাদপড়াদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, হতাশ হবার কিছু নেই। 

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়