Apan Desh | আপন দেশ

আরপিও সংশোধন

জোটের প্রার্থী হলেও ভোটে লড়তে হবে নিজ দলের প্রতীকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৪৩, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৮:৪৪, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

জোটের প্রার্থী হলেও ভোটে লড়তে হবে নিজ দলের প্রতীকে

সংবাদ সম্মেলনে আসিফ নজরুল ও শফিকুল আলম।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের একটি খসড়া অনুমোদন করেছে। এ সংশোধনের ফলে নির্বাচনের নিয়মে বড় পরিবর্তন আসছে। এখন থেকে নির্বাচনী জোটে থাকলেও প্রার্থীরা নিজ দলের প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে লড়বেন। এতদিন জোটের প্রার্থীরা অনেক সময় অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারতেন। নতুন বিধান সেটিকে বাতিল করেছে।

অনুমোদিত খসড়ায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকেও যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও পুলিশের মতো ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তিন বাহিনীকে নির্বাচনী দায়িত্ব দিতে আলাদা কোনো আদেশের প্রয়োজন হবে না।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ঢাকার তেজগাঁওয়ে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আরও পড়ুন>>>‘হাসিনা সেনাবাহিনীকে উসকে দিয়ে গৃহযুদ্ধ লাগানোর চেষ্টা করেছেন’

সংশোধিত আরপিওর নানা দিক তুলে ধরে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, যদি নির্বাচনী জোট হয়, তাহলে জোটের অংশ হলেও দলের যে প্রতীক তা দিয়ে নির্বাচন করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে সংজ্ঞা, সেখানে সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিমানবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার সম্পর্কিত যেসব বিধান ছিল তা বিলুপ্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় পলাতক ব্যক্তিরা নির্বাচন করতে পারবেন না, এটিও যুক্ত করা হয়েছে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, যারা নির্বাচন করবেন তাদের এফিডেভিটের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি উৎস থেকে যত আয় ও সম্পত্তি আছে, তার সমস্ত কিছুর বিবরণ দিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা এ নির্দেশ দিয়েছেন ও তা অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। প্রার্থীদের জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। জেলা নির্বাচনী কার্যালয় জেলার নির্বাচনী কর্মকর্তা ঠিক করবেন।

সংশোধিত আরপিওতে ‘না’ ভোটের বিধান রাখার কথা জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, যে সংসদীয় আসনে একজন প্রার্থী থাকবেন সেখানে ভোটারেরা ‘না’ ভোট দিতে পারবেন। আর কোনো সংসদীয় আসনে অনিয়ম হলে পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে নির্বাচন কমিশন।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়