
ছবি : আপন দেশ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানের অপসারণের দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শনিবার (২৮ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
আন্দোলনকারীদের লাগাতার কর্মসূচির কারণে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা প্রত্যাশী ও রপ্তানিকারকরা।
এছাড়া দেশের ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দফতরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিও পালন করছে আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’।
জানা গেছে, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনে এদিন সকাল থেকে এনবিআর ভবনের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন বিভিন্ন জেলার কাস্টমস, ভ্যাট ও কর অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা ব্যানার-ফেস্টুনসহ ভবনের সামনের ফুটপাত ও সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক প্রশাসনিক কার্যক্রমে হস্তক্ষে, কর্তৃত্ববাদী আচরণ, স্বেচ্ছাচারিতা করছেন বলে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ। তারা বলেন, সমস্যার সমাধান না করে এনবিআর চেয়ারম্যান মিথ্যাচার করছেন। কর প্রশাসনের সংস্কার ও সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতেই এই আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ জুনও এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে গেট বন্ধ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশে বাঁধা দেয়া হয়েছিল। পরে শুক্রবার (২৭ জুন) অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কমপ্লিট শাটডাউন এবং মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা বললেও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এ পরিস্থিতিতে শনিবার থেকে সারা দেশের শুল্ক কর কার্যালয়েও শুরু হয়েছে লাগাতার শাটডাউন কর্মসূচি।
গত ১২ এপ্রিল রাতে জারি করা এক অধ্যাদেশে এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি আলাদা বিভাগ—‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’—গঠনের ঘোষণা দেয় সরকার। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে ১২ মে অর্থ মন্ত্রণালয় ওই অধ্যাদেশ অকার্যকর ঘোষণা করলে কর্মীরা কাজে ফেরেন।
তবে ২৯ মে’র মধ্যে এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানকে অপসারণের দাবি জানানো হয়। নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলে তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর গত ২২ জুন পাঁচ কর্মকর্তাকে বদলির ঘটনায় আন্দোলন আবার তীব্র হয়। আন্দোলনরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। শুক্রবার এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত, অফিস ত্যাগ বা দেরিতে উপস্থিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।