Apan Desh | আপন দেশ

লিভার ভালো রাখতে যে ৭ খাবার খাবেন

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫০, ১২ জুন ২০২৫

লিভার ভালো রাখতে যে ৭ খাবার খাবেন

ফাইল ছবি

আমাদের লিভার শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাহায্য করে। যেমন ডিটক্সিফিকেশন, প্রোটিন উৎপাদন ও হজমের জন্য প্রয়োজনীয় জৈব রাসায়নিক তৈরি। আমরা যা খাই তা মূলত এর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। অনেক সুস্বাদু এবং সহজলভ্য খাবার রয়েছে যেগুলো লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে কাজ করে। প্রতিদিন সেসব খাবার খেলে লিভারের বিভিন্ন অসুখ থেকে দূরে থাকা সহজ হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক-

১. ক্রুসিফেরাস সবজি

ব্রোকলি, ফুলকপি, ব্রাসেলস স্প্রাউট এবং কেল গ্লুকোসিনোলেটে সমৃদ্ধ, যা লিভারকে ডিটক্সিফিকেশন এনজাইম তৈরি করতে সাহায্য করে। এ এনজাইমগুলো শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ নির্মূল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যার ফলে লিভারের ওপর বোঝা কমে। এ সবজিগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় যোগ করুন।

২. রসুন

রসুনে অ্যালিসিন এবং সেলেনিয়াম থাকে, যা লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো রাসায়নিক। অ্যালিসিন লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, অন্যদিকে সেলেনিয়াম একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা লিভারের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। রসুন লিভারের এনজাইমগুলোকেও উদ্দীপিত করতে পারে যা বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে।

৩. বাদাম

কাঠ বাদাম, আখরোট ও চিনা বাদাম স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চমৎকার উৎস। এগুলো প্রদাহ কমাতে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে ও লিভারের এনজাইমের অবস্থা উন্নত করতে সাহায্য করে। ক্যালোরি বেশি থাকে, তাই এগুলো পরিমিত খেতে ভুলবেন না।

৪. ওটস

ওটস দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজম নিয়ন্ত্রণ করতে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ নির্মূল করতে সাহায্য করে। এটি লিভারের ওপর কাজের চাপ কমায়। এটি রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ উন্নত করতেও সাহায্য করতে পারে, যা লিভারের রোগ প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৫. বেরি

ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, স্ট্রবেরি ও ক্র্যানবেরি অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ। এগুলো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ বেরি জাতীয় ফল লিভারকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, প্রদাহ কমায় এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে। এ ধরনের ফল নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

৬. কফি

অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে কফি পান করা লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি লিভারে সিরোসিস এবং ফাইব্রোসিস প্রতিরোধ করে এবং লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়। এর ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড এবং ক্যাফেস্টলের মতো যৌগ এসব উপকারিতা নিয়ে আসে। এ যৌগগুলোর যার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব রয়েছে। এক্ষেত্রে ব্ল্যাক কফি বেছে নিন, কারণ অতিরিক্ত চিনি ও ক্রিম স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।

৭. গ্রিন টি

গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জন্য বিখ্যাত, বিশেষ করে ক্যাটেচিন। এ যৌগ লিভারের এনজাইমের মাত্রা উন্নত করতে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং লিভারে চর্বি জমা কমাতে কাজ করে। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে নন-অ্যালকোহলিক তা ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD) এবং অন্যান্য লিভারের রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

আপন দেশ/এমবি

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়