ছবি : আপন দেশ
গত বছর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই। সোমবার (১৭ নভেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করবেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ও ট্রাইব্যুনালের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ এ রায় ঘোষণা সরাসরি সম্প্রচার করবে। একই সঙ্গে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় রাজধানীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বড় স্ক্রিনে লাইভ সম্প্রচারের আয়োজন করেছে।
রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ও দুই আসামির বিরুদ্ধে আনা ৫টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং তারা সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছে। তবে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের আইনে কোনো নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে অনুকম্পার কোনো সুযোগ নেই। দণ্ডিত হলে ট্রাইব্যুনালের সাজা পরোয়ানা ইন্টারপোলে পাঠানো হবে।
গত ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে প্রথম মামলাটি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হয়, যেখানে ১৭ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরবর্তীকালে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও আসাদুজ্জামান খানও আসামি হন।
আরও পড়ুন<<>>শেখ হাসিনার রায় ঘিরে নিরাপত্তা বলয়ে দেশ
মামলায় প্রসিকিউশন গত ১২ মে ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়। এর মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও প্রমাণাদি ৪ হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকা ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয় এবং ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়া হয়।
মামলার পাঁচটি অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে:
১. আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ ও ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও হামলা।
২. হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ।
৩. রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে গুলি করে হত্যা।
৪. রাজধানীর চানখাঁরপুলে নিরীহ ছয়জনকে গুলি করে হত্যা।
৫. আশুলিয়ায় নিরীহ ছয়জনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী খালাস প্রার্থনা করলেও রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আবেদন করা হয়েছে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।





































