Apan Desh | আপন দেশ

কিশোর শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তা, শিক্ষিকা গ্রেফতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১৭, ৩ জুলাই ২০২৫

কিশোর শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তা, শিক্ষিকা গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। তাই ছাত্র আর শিক্ষকের মধ্যে সম্পর্ক পবিত্রতম। কিন্তু সে শিক্ষকই যদি তার ছাত্রকে বিপথে ঠেলে দেন তাহলে বিষয়টা কেমন দাঁড়ায়? ঠিক সেরকমই ঘটনা ঘটেছে ভারতের মুম্বাইয়ে। ১৬ বছরের এক কিশোর ছাত্রকে দীর্ঘদিন ধরে যৌন হেনস্তার অভিযোগে এক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ওই নাবালককে মুম্বাইয়ের বিভিন্ন পাঁচতারা হোটেল ও অন্যান্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে মদ্যপান করানো হতো, ‘অ্যান্টি অ্যাংজাইটি’ পিল খাইয়েও যৌন হেনস্তা করেন ওই শিক্ষিকা। ১৬ বছরের শিক্ষার্থীর আচরণে পরিবর্তন লক্ষ করার পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে, যখন সে পরিবারকে নির্যাতনের কথা জানায়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ছেলেটিকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওই শিক্ষিকাকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের পর যৌন হেনস্তার ঘটনায় উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানের জন্য নাচের দল নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা চলাকালীন বিবাহিত শিক্ষিকা ছেলেটির প্রতি আকৃষ্ট হন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। অভিযুক্ত এক মাস পরে তাকে প্রথম যৌন প্রস্তাব দিয়েছিল বলে অভিযোগ।

ছেলেটি প্রথমে অনিচ্ছুক ছিল এবং শিক্ষিকাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। এরপরই ছেলেটির মেয়ে বন্ধুদের মাধ্যমে ছাত্রটিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন ওই শিক্ষিকা। তিনি বলেন, আজকাল নারী ও কিশোর ছেলেদের মধ্যে সম্পর্ক বেশ সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই বান্ধবী ছেলেটিকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে সে এবং ওই শিক্ষিকা ‘মেড ফর টিচার’। ওই বান্ধবী ওই নাবালককে বলেছিল, বয়স্ক নারী ও কিশোর ছেলেদের মধ্যে সম্পর্ক খুব সাধারণ হয়ে উঠেছে। এ মামলায় ওই বান্ধবীকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বান্ধবীর অনেক অনুনয়ের পর ওই ছাত্র ওই শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ওই শিক্ষিকা তাকে তার প্রাইভেটকারে তুলে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে জোর করে পোশাক খুলে ফেলেন এবং অত্যাচার করেন।

ছেলেটি জানায়, অভিযুক্ত শিক্ষিকা তাকে যৌন নির্যাতনের জন্য দামি হোটেলে নিয়ে যাওয়ার পরেই তীব্র উদ্বেগ তৈরি হয় তার মনে। এরপর তিনি তাকে কিছু ‘অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি’ পিল দেন। শিক্ষিকা প্রায়শই তাকে গালিগালাজ করার আগে তাকে মদ্যপান করাতেন। 

ছেলেটি স্কুল থেকে পাস করেছে এবং শিক্ষিকা এখন তাকে ছেড়ে দেবেন বলে ভেবে পরিবারটি প্রথমে ঘটনাটি সম্পর্কে নীরব ছিল। তবে অভিযুক্ত শিক্ষিকা গৃহকর্মীদের মাধ্যমে ওই ছাত্রের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে, তাকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে। তখনই একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেয় ছেলেটির পরিবার।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়