
স্ত্রী হেইলির সঙ্গে বিশ্বখ্যাত পপ তারকা জাস্টিন বিবার
বিশ্বখ্যাত কানাডিয়ান পপ তারকা জাস্টিন বিবার। সংগীতে জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিতি তার। সংগীত ক্যারিয়ারে উর্পাজন করেছেন কোটি কোটি ডলার। অথচ সময়ে ব্যবধানে আজ তিনি হিরো থেকে জিরো! নিদারুন অর্থ সংকটে ভুগছেন জনপ্রিয় এ তারকা।
বর্তমানে এ গায়ক ৩১ মিলিয়ন ডলার ঋণের দায়ে জর্জিরিত। পুরো পরিবার নির্ভর করছে হেইলি বিবারের আয়ের ওপর। কারণ জাস্টিন বিবার অনেক দিন ধরে তেমন কোনো কাজ করছেন না।
সাবেক ম্যানেজার স্কুটার ব্রনের কাছ থেকে নেয়া ৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ এখনো শোধ করেননি গায়ক জাস্টিন বিবার। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টিএমজেড বরাতে জানা গেছে, এ দেনা মেটাতে এখন স্ত্রী হেইলি বিবারের কসমেটিক ব্র্যান্ড রোড-এর বিলিয়ন ডলারের চুক্তির অর্থের দিকেই তাকিয়ে আছেন তিনি। কারণ, জাস্টিনের কাছে এ মুহূর্তে সে পরিমাণ নগদ অর্থ নেই। চুক্তির অর্থ ব্যাংকে ঢুকলেই ঋণ পরিশোধ করবেন বিবার।
২০২২ সালে বিরল এক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত হন কানাডিয়ান এ পপ তারকা। তখন ‘জাস্টিস ট্যুর’সহ সব অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয় তাকে। এর ফলে তখন প্রায় ২৬ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েন তিনি। সে সময় তার সাবেক ম্যানেজার স্কুটার ব্রন তার কোম্পানির মাধ্যমে বিবারকে ঋণ হিসেবে এ অর্থ দেন।
আরওপড়ুন<<>>২০ বছরের তরুণের সঙ্গে খোলামেলা দৃশ্যে কারিনা
তাছাড়া বিবারের কাছে কমিশনের ১১ মিলিয়ন ডলার পেতেন স্কুটার ব্রাউন। এর বাইরে অতিরিক্ত আট মিলিয়ন ডলারের কমিশনের দেনা ছিল, যেটি স্কুটার শেষমেশ মাফ করে দিয়েছেন। সমঝোতা অনুযায়ী, বিবার ২৬ মিলিয়ন ডলার এবং ১১ মিলিয়ন ডলারের অর্ধেক, অর্থাৎ মোট প্রায় ৩১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধে সম্মত হন।
এ দেনা পরিশোধে জাস্টিন এখন নির্ভর করছেন স্ত্রী হেইলি বিবারের সম্প্রতি স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির ওপর। গত মে মাসে তিনি তার কসমেটিক ব্র্যান্ড রোড বিক্রি করেছেন জনপ্রিয় বিউটি কোম্পানি ইএলএফ-এর কাছে। চুক্তির মূল্য এক বিলিয়ন ডলার। যদিও ব্র্যান্ডটিতে অনেক বিনিয়োগকারী রয়েছেন, তবে চুক্তির বড় একটি অংশ পাবেন হেইলি ও বিবার। সূত্র বলছে, বিবারের শেয়ার প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে স্কুটারের দেনা পরিশোধ করা সম্ভব।
প্রায় ১৮ মাস আগে জাস্টিন বিবার তার মিউজিক ক্যাটালগ ২০০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেছিলেন। টিএমজেডের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি সূত্র জানিয়েছে, ট্যাক্স, ম্যানেজার, অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আইনজীবী ও ব্যক্তিগত খরচ মেটানোর পর সেখানে তেমন কিছুই আর অবশিষ্ট ছিল না।
এদিকে হেইলির প্রতিনিধি টিএমজেডকে বলেন, রোড-এর এ ঐতিহাসিক বিক্রি হেইলির জন্য এক বিশাল অর্জন। তবে এর সঙ্গে তার স্বামীর ব্যবসায়িক পরিস্থিতির কোনো সম্পর্ক নেই।
এর আগে এক ঘনিষ্ঠ সূত্র টিএমজেডকে জানিয়েছিল, এখন পুরো পরিবার নির্ভর করছে হেইলি বিবারের আয়ের ওপর। কারণ বিবার অনেক দিন ধরে তেমন কোনো কাজ করছেন না। তবে এসব বিষয়ে বিবার কিংবা ব্রনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।