Apan Desh | আপন দেশ

রাবিতে ছাত্রশিবিরের মানববন্ধনের পর শাটডাউন স্থগিত 

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:১২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাবিতে ছাত্রশিবিরের মানববন্ধনের পর শাটডাউন স্থগিত 

ছবি: আপন দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ৭ দিনের জন্য শাটডাউন কর্মসূচী স্থগিত করেছে অফিসার সমিতি। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় অফিসার সমিতির সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ মো. মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার বেলা ১১টায় অফিসার সমিতির কার্যালয়ে কর্মকর্তা, সহায়ক, সাধারণ ও পরিবহন সমিতির প্রতিনিধিদের নিয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবিসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আজ দুপুর ১টা থেকে চলমান 'শাটডাউন' কর্মসচি স্থগিত ঘোষণা করা হলো। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে যদি দাবিসমূহ বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে পরবর্তীতে সকলকে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স সমিতির কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রানা বলেন, মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের অফিসার্স সমিতির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আমাদের দাবি- দাওয়ার কথা শুনে আশ্বস্ত করা হয়। আমরা চাই, শিক্ষক-কর্মকর্তা লাঞ্ছিতের ঘটনায় যেসব ছাত্র জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া। প্রশাসন আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রশাসনকে ৭দিনের আলটিমেটাম দিয়ে চলমান কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি। সাতদিনের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।

এর আগে, আজ বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের লাগাতার শাটডাউনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শাখা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।

আরওপড়ুন<<>>‘নীলক্ষেতের ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়া যাবে না’

এ সময় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, আজকের এ অচল অবস্থা পরিকল্পিত। একটি দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন পিছিয়েছে। আবার শাটডাউনের মাধ্যমে রাকসুকে বানচাল করার চেষ্টা চলছে। শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। সে রায় দেয়ার পর তা সন্তোষজনক না হলে তারা পূনরায় আন্দোলন করতে পারে। তদন্তচলাকালীন এ শাটডাউন অযৌক্তিক।

শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, পোষ্য কোটা শিক্ষার্থীদের জন্য একপ্রকার জুলুম। একটি গোষ্ঠী এ ইস্যু সামনে এনে তিনটি লক্ষ্য পূরণ করতে চায়—পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনা, পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করা এবং রাকসু নির্বাচন বানচাল করা।

মানববন্ধনে কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও একাত্মতা প্রকাশ করেন। এতে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি, সেক্রেটারিসহ প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, শাটডাউন কর্মসূচি চলমান রেখেছেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতাকর্মীরা। ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব উপ-উপাচার্যকে লাঞ্ছনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এর আগেও নামধারী কিছু ছাত্র আমাদের সহকর্মীদের আটকে রেখেছিল। আমরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো আশ্বাস পাইনি। তাই আমাদের দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক প্রফেসর মো. আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজে ফিরেছে, দাফতরিক কার্যক্রম পূর্ণরূপে সচল হয়েছে।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়