Apan Desh | আপন দেশ

রাবির ৩ আওয়ামী কর্মকর্তা গ্রেফতার 

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:৩৮, ১৭ জুলাই ২০২৫

রাবির ৩ আওয়ামী কর্মকর্তা গ্রেফতার 

ছবি: আপন দেশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৩ আওয়ামী কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশে কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় সাবেক শিক্ষার্থীরা। জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সঙ্গে তারা জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) কর্মরত অবস্থায় তাদের লিগ্যাল সেলে নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ এসে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার পঙ্কজ কুমার, অর্থ ও হিসাব শাখার উপ পরিচালক আমিনুল হক, একই শাখার সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাসুদ।

বোয়ালিয়া থানায়ও ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃতরা এজাহরভুক্ত আসামি বলে জানান মতিহার থানার ওসি  আব্দুল মালেক।

আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, আমরা গত সপ্তাহে দাবি জানাতে এসেছিলাম রেজিস্ট্রারের কাছে। তিনি আজকে আমাদের সময় দিয়েছিলেন। আমরা আজ আসার পর তিনি আমাদের পাত্তাই দিচ্ছেন না। স্যার কোনো পদক্ষেপ না নেয়াই আমরা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি। আমরা উনাদেরকে লিগাল সেলে আসতে বলি, পরে স্যার উনাদের প্রক্টর দফতরে রেখে গিয়ে পুলিশকে ইনফর্ম করন। এখন দেখা যাক তারা কি করেন। আমরা যাদের পুলিশে দিয়েছি, তারা সবাই এজাহার ভুক্ত আসামি।

আরওপড়ুন<<>>১৬ জুলাই স্মরণে ইবি ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন  

আরেক সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, এরা সবাই একেকজন আওয়ামী লীগের ক্যাডার। ২০১৮ সালে তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে। জুলাই-আগস্টেও তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে। কিন্তু এরপরও তারা এখনো চাকরি করে যাচ্ছে। এক বছর হয়ে গেলেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছি।

এজাহারভুক্ত আসামি সেকশন অফিসার পঙ্কজ কুমার বলেন, আমি কখনো শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করিনি। আন্দোলনে আমি বাসাতেই ছিলাম। ৫ আগস্টে আমি বাসা থেকেই বের হয়নি। শুনেছিলাম আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, কিন্তু কেউ কখনো কিছু বলেনি। আজ হঠাৎ তারা আমাকে ধরে আনছে। কেনো ধরছে আমার জানা নেই।

আরেক এজাহারভুক্ত আসামি আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, সুবহান স্যারের আমলে আমি নিজে ছাত্রলীগের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছি। আমি কখনো শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কিছু করিনি। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করেছি, কিন্তু আমি চাকরি জীবনে কখনো কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। কোনো শিক্ষার্থীর ওপর কখনো হামলাও করিনি। শুনেছিলাম মামলা হয়েছে, কিন্তু বিস্তারিত জানি না। আজ যারা আমাদের ধরেছে, মনে হয় তারা জামায়াত-শিবির।

ওসি আবদুল মালেক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, তাই তাদের নিয়ে যাচ্ছি। তারা এজাহারভুক্ত আসামি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর  অধ্যাপক  মাহবুবুর রহমান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। মতিহার থানা পুলিশ আমাকে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখিয়েছে, তাই আমি তাদের নিয়ে যেতে দিয়েছি। তবে সাবেক শিক্ষার্থীরা যেটা করছে এটা কখনোই কাম্য না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কর্মরত অবস্থায় তারা এভাবে ধরে নিয়ে যেতে পারে না। এটা পুলিশের কাজ পুলিশ করবে। এর পর থেকে এ ধরনের ঘটনা আমি অ্যালাও করবো না।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়