Apan Desh | আপন দেশ

রাবি শিক্ষার্থীর গবেষণায় উঠে এলো হাসিনার বুলেটে শিশু হত্যা

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৩৭, ১৮ মে ২০২৫

আপডেট: ১৯:৫৪, ১৮ মে ২০২৫

রাবি শিক্ষার্থীর গবেষণায় উঠে এলো হাসিনার বুলেটে শিশু হত্যা

রাবি শিক্ষার্থী মো. সাব্বির শেখ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মো. সাব্বির শেখের গবেষণায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের শিশু হত্যাকাণ্ডের বিবরণ উঠে এসেছে। যেখানে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত মোট ৮৯ শিশুকে প্রাণ দিতে হয়েছে। নিহত শিশু-কিশোরদের সবার বয়স ৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।

মো. সাব্বির শেখ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।

ইরান ভিত্তিক আন্তর্জাতিক জার্নাল 'জার্নাল অফ ইনজুরি অ্যান্ড ভায়োলেন্স রিসার্চ' এ "Violence and Trauma towards Children and Adolescents in the July Mass Uprising (2024) in Bangladesh: A Socio-demographic Analysis of 89 Deaths" শিরোনামে তার এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। এটি ইরানের কেরমানশাহ ইউনির্ভাসিটি অফ মেডিকেল সায়েন্সেস থেকে প্রকাশিত ওপেন-একসেস পিয়ার-রিভিউড মেডিকেল জার্নাল।

গবেষণার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মোট ৮৯ জন শিশু-কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের বয়স সীমা ছিল ৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। গড় বয়স ছিল ১৫.২ বছর। ১৮ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৫৬ জন মারা যায় এবং আহত ৩৩ জন। এরা মারা যায় ৫ আগস্টের পরে।

আরওপড়ুন<<>>শতভাগ আবাসন-রাকসুর তফসিল ঘোষণার দাবিতে রাবিতে মানববন্ধন

এর মধ্যে ৫৮ জন মারা যায় ঢাকায় এবং বাকি ৩১ জন মারা যায় ঢাকার বাইরের ১৬টি জেলায়। ৮৯ জন শিশু-কিশোরের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় ৭৯ জন, পুড়ে মারা যায় ৯ জন এবং একজনের মৃত্যু হয় স্প্লিন্টারের আঘাতে। এর মধ্যে ৪২ জন ছাত্র এবং ২৯ জন শিশুশ্রমের সঙ্গে জড়িত ছিল।

এ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রায় ৯০ শতাংশ শিশু-কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। যা সশস্ত্র সংঘাতের তৎপরতা নির্দেশ করে এবং ঢাকা ছিল সহিংসতার কেন্দ্রস্থল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাব্বির বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদি হাসিনার সহিংস কর্মকাণ্ড, হত্যাকাণ্ড, জুলাই অভ্যুত্থান ও এর অবদানকে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বাঁচিয়ে রাখতে চাই। আমাদের এ গবেষণা তারই সামান্য একটা প্রয়াস মাত্র। তাছাড়া হাসিনা সরকারের ফ্যাসিবাদি শাসনকালে সংগঠিত অত্যাচার, সহিংসতা এবং ট্রামাটিক ঘটনা নিয়ে গবেষণা কাজ চলছে।

গবেষণা পত্রটির অন্য এক অথর 'বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন' এর ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেন "শুনতে অবাক লাগলেও, আমরাই প্রথম যারা জুলাই নিয়ে ফুল রিসার্চ পেপার পাবলিকেশন করেছে"। এছাড়া এ গবেষণার কো-রেসপন্ডিং অথর হিসেবে ছিলেন বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো এস এম ইয়াসির আরাফাত।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়