Apan Desh | আপন দেশ

‘বোরকার ভেতরে ভণ্ডামি বেশি লুকিয়ে’ 

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৫৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১২:৫৭, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

‘বোরকার ভেতরে ভণ্ডামি বেশি লুকিয়ে’ 

অধ্যক্ষ মেজর মিতা সফিনাজ। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার লাকসামে নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর হিজাব নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।

মানববন্ধনে কলেজের অধ্যক্ষ মেজর মিতা সফিনাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে হিজাব নিয়ে কটূক্তি, বোরকা ধরে টানাটানি, হিজাব পরা ছাত্রীদের অপমান করাসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থী সূত্র জানায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনার ও মেলা উপভোগ করতে আসেন ওই কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আঞ্জুমান আক্তার আঁখি ও তার ছোট বোন। ওই দিন কলেজে দুই বোন হিজাব-বোরকা পরিধান করে একসঙ্গে নারী শিক্ষার্থীদের কমনরুমে যাওয়ার সময় কলেজ অধ্যক্ষ মেজর মিতা সফিনাজ তাদের বোরকা-হিজাব পরিধান নিয়ে নানা ধরনের কটূক্তি করেন। এ সময় উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার সামনে ছাত্রীদের বোরকা-হিজাব পরে আসায় অপমান করেন এবং বোরকা পরে আসতে নিষেধ করেন। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আঞ্জুমা আক্তার আঁখি বলেন, আমাকে ও আমার ছোট বোনকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় দেখামাত্রই অধ্যক্ষ ম্যাডাম বিভিন্ন বাজে মন্তব্য শুরু করেন। আমার ছোট বোনের গায়ে ছিল একটি ছোট কালো বোরকা এবং একটি ছোট কালো হিজাব আর আমার পরনে ছিল বোরকা, হাত পায়ের মোজা ও হিজাব। আমাদের দেখিয়ে রাগান্বিত স্বরে অধ্যক্ষ বলেন, ছোট বাচ্চাদের এমন পোশাক পরায়? এ ধরনের পোশাক পরিয়ে বাচ্চাদের ভুলভাল জিনিস শেখায়।

আরও পড়ুন <> দুই সহোদর অতি স্বল্প সময়ে হাফেজ

ওই শিক্ষার্থী বলেন, তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন শিক্ষকের মধ্যে একজন প্রতিবাদ করেন। তিনি বলছিলেন, বাচ্চাদের হয়তো পরিবার থেকে ছোটবেলা থেকেই তারা পর্দা-নৈতিকতা শেখায়, কিন্তু প্রতিউত্তরে ম্যাডাম বলে ওঠেন— এগুলো কোন ধরনের নৈতিকতা? এসব বোরকা-হিজাবের ভেতরে দুষ্টামি-ভণ্ডামি আরও বেশি লুকিয়ে থাকে। অধ্যক্ষ ম্যাডাম আরও বলেন, হুজুরগিরি করলে বাড়িতে করতে হবে, কলেজে নয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, এসব কথায় আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি। আমার মানসিক অবস্থা দেখার মতো ছিল না এবং লজ্জাবোধ করি। 

অধ্যক্ষ মেজর মিতা সফিনাজ বলেন, আমি এখন অসুস্থ, ঢাকায় একটি হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে এসেছি, একদিন পর কলেজে এসে কথা বলিয়েন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রসাদ কুমার ভাওয়াল জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে নজরে এসেছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাই সিদ্দিকী বলেন, কলেজ অধ্যক্ষের শিক্ষার্থীর হিজাব পরিধান করার নিয়ে কটূক্তির বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যব্স্থা নেয়া হবে। 

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়