Apan Desh | আপন দেশ

ধর্ম

নাতির কাছে আরবি শিখছেন মিশা সওদাগর

নাতির কাছে আরবি শিখছেন মিশা সওদাগর

পর্দায় খলনায়ক হিসেবে আবির্ভাব হলেও বাস্তব জীবনে একদমই বিপরীত মিশা সওদাগর। দীর্ঘ এত বছরে কখনো সিগারেট খাননি বলেও নিজেই জানান জনপ্রিয় এ অভিনেতা। অভিনয়ের বাইরে বিনয়, ধর্মীয় চর্চা ও মানবিক বার্তার মাধ্যমে প্রায়ই আলোচনায় আসেন তিনি।  সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাতির সঙ্গে পোস্ট করা একটি ছবির মাধ্যমে আবারও খবরের শিরোনামে মিশা। সে ছবিতে দেখা যায়, নাতি রাফসানের পাশে বসে আছেন মিশা সওদাগর। সামনে খোলা একটি আরবি বই (কায়দা)। ছবিটি দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন, নাতিকে কায়দা বা আরবি পড়াচ্ছেন মিশা। কিন্তু আসল গল্পটি একেবারেই অন্যরকম। ছবিটির ক্যাপশনে মিশা সওদাগর লিখেছেন, ‘চোখ যা দেখে, সব সময় সেটা সঠিক নাও হতে পারে। এ ছবি দেখে সবাই মনে করবেন আমি আমার নাতি রাফসানকে আরবি পড়াচ্ছি।

০৩:৫৩ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার

‘দেশের মিডিয়া-প্রশাসনে ফ্যাসিস্টের দোসররা বসে আছে’

‘দেশের মিডিয়া-প্রশাসনে ফ্যাসিস্টের দোসররা বসে আছে’

প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় ফ্যাসিস্টের দোসররা বসে আছে। এখন পর্যন্ত কালচারাল ফ্যাসিস্টরাও বহাল তবিয়তে আছে, মিডিয়াতেও ফ্যাসিস্ট দোসররা ভালো অবস্থানে আছে।  এ মন্তব্য করেছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) যাত্রাবাড়ী তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে প্রথম এমডিসি জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সেফ এক্সিট কোথায় নেব? বিদেশে গিয়ে কি করবো? এ দেশ আমার, এ মাতৃভূমিতে আমার জন্ম, এখানে আমার কবর হবে। যারা দুর্নীতি করে তাদের সেফ এক্সিট লাগে, আমাদের সেফ এক্সিটের দরকার নাই।

০৩:৪৬ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ মঙ্গলবার

বাংলাদেশ ব্যাংকে সীরাতুন্নবী মাহফিল, আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ

বাংলাদেশ ব্যাংকে সীরাতুন্নবী মাহফিল, আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ

বাংলাদেশ ব্যাংকে সীরাতুন্নবী (সা.) মাহফিল হবে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। মাহফিল শুরু হবে বিকাল ৩টায়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি আস্ সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। তিনি সীরাতুন্নবী (সা.) নিয়ে আলোচনা করবেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন মো. জাকির হোসেন চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাননীয় ডেপুটি গভর্নর। সভাপতিত্ব করবেন মো. আনিচুর রহমান। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি।

০৭:১৬ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২৫ রোববার

কোরআনে ‘পেছনে ফিরে না তাকানো’র জীবনদর্শন

কোরআনে ‘পেছনে ফিরে না তাকানো’র জীবনদর্শন

হজরত লুত (আ.)-কে এক রাতে তার পরিবারসহ অন্ধকারে এলাকা ছেড়ে যেতে বলা হয়েছিল ও নির্দেশ দেয়া হয়েছিল: ‘ওয়ালা তাল্‌তাফিত।’ অর্থাৎ, তোমাদের কেউ যেন পেছনে ফিরে না তাকায়, যেখানে যেতে বলা হয়েছে, সেখানে চলে যাও। (সুরা হুদ, আয়াত: ৮১) এ নির্দেশের পেছনে রয়েছে গভীর তাৎপর্য: অতীতের দিকে তাকালে ধ্বংসের মুখোমুখি হতে হয়, আর এগিয়ে চললে মুক্তি ও সাফল্য অর্জিত হয়। ‘পেছনে ফিরে তাকিও না’—এ ঐশী নির্দেশ কেবল একটি ধর্মীয় বিধান নয়, বরং এটি জীবনের এক গভীর দর্শন, যা মানুষকে অতীতের শিকল থেকে মুক্ত করে এগিয়ে চলতে শেখায়। এ আয়াতটি লুত (আ.)-এর ঘটনার প্রেক্ষাপটে এসেছে। যখন ফেরেশতারা তাকে জানিয়েছিলেন যে তার সম্প্রদায় ধ্বংস হতে চলেছে। তাকে বলা হয়েছিল, তিনি যেন তার পরিবার নিয়ে পালিয়ে যান। কিন্তু তার স্ত্রী, যিনি পাপিষ্ঠদের সঙ্গে ছিলেন, তিনি ধ্বংসের শিকার হবেন। এ নির্দেশকে কেবল আক্ষরিকভাবে বিবেচনা করলে চলবে না, বরং মানসিক ও আত্মিকভাবে অতীতের প্রতি আকর্ষণ ত্যাগ করারও আহবান ছিল এখানে। মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে, অতীতের প্রতি আকৃষ্ট থাকা—তা অনুশোচনা, অপরাধবোধ বা অতীতের জন্য অসুস্থ হাহাকার হোক—মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গবেষণা বলছে, অতীতের স্মৃতিতে আটকে থাকা বিষণ্নতা ও উদ্বেগের কারণ হতে পারে। (ড্যানিয়েল গোলম্যান, ইমোশনাল ইনটেলিজেন্স, পৃ. ৬৭-৬৮, ব্লুমসবারি, লন্ডন, ১৯৯৬)

১০:৫৪ এএম, ৯ অক্টোবর ২০২৫ বৃহস্পতিবার

আইনশূন্যতায় ধর্ম ‘যায়নবাদী’র সংখ্যা বাড়ছে

আইনশূন্যতায় ধর্ম ‘যায়নবাদী’র সংখ্যা বাড়ছে

বাংলাদেশে ধর্ম অবমাননা বিষয়ে কঠোর ও নির্দিষ্ট আইন না থাকায় বারবার ঘটছে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ঘটনা। রাজধানীর বসুন্ধরায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের কাণ্ড যেন সে শূন্যতারই প্রতিচ্ছবি। পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননায় ক্ষুব্ধ জনতা তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরপর দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ, ঘৃণা ও নিন্দার ঝড় বয়েছে। আর আইনের শূন্যতার সুযোগ নিয়ে এ ধরনের উসকানিমূলক কার্যক্রম ছড়াচ্ছে অপূর্ব পালের মতো ‘যায়নবাদী’। শনিবার (০৪ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সকাল ৯টার দিকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল ঠোঁটে শিস বাজাতে বাজাতে পবিত্র কোরআন শরীফ পদদলিত করে। এ জঘন্য দৃশ্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে সারাদেশে ক্ষোভে ফেটে পড়ে মানুষ। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হৃদয়ে গভীর আঘাত লাগে এ অপমানজনক ঘটনায়। তবে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা। ঘটনাটি সকালেই ঘটলেও ভিডিও ভাইরাল হয় রাত ১১টার দিকে। আর অপূর্ব পালকে গ্রেফতার করা হয় রাত ২টার দিকে। এত দীর্ঘ সময় প্রশাসন কী করেছে? প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বরং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে বাসায় পৌঁছে দেয়। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়—অভিযুক্তকে শুরু থেকেই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রক্ষা করার চেষ্টা হয়েছে। এমনকি অতীতে দেখা গেছে, একই বিশ্ববিদ্যালয় একজন শিক্ষককে কেবল ক্লাসে হাদিস উদ্ধৃত করায় বরখাস্ত করেছিল। অথচ কুরআন পদদলনের মতো ভয়াবহ অপরাধ ঘটলেও প্রথম পর্যায়ে কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি—যা প্রশাসনের দ্বিচারিতার স্পষ্ট উদাহরণ।

০৯:৪১ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০২৫ রোববার

‘আগে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার পেছনে বিদেশি অপশক্তি জড়িত ছিল’

‘আগে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার পেছনে বিদেশি অপশক্তি জড়িত ছিল’

আগে মন্দির ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার পেছনে দেশি-বিদেশি অপশক্তি জড়িত ছিল। এ মন্তব্য করেছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। দুর্গাপূজা উপলক্ষে বুধবার (০১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে একটু নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। গত দুবছর ধরে দুর্গাপূজার ছুটি বাড়ানো হয়েছে, যাতে সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে উৎসব পালন করতে পারে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সব ধর্ম, বর্ণের মানুষ যাতে সমান অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারে, অন্তর্বর্তী সরকার সে দৃষ্টান্ত রেখে যাচ্ছে।

০৯:১৯ পিএম, ১ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার

Advertisement
সর্বাধিক পঠিত
Advertisement