ছবি: আপন দেশ
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী যেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, সে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আহবান জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। একই সঙ্গে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও ১৪ দলকেও ভোটের বাইরে রাখার দাবি জানিয়েছে দলটি।
বুধবার (১২ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতে এ দাবি জানায় গণঅধিকার পরিষদ।
বৈঠক শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কেউ যেন ভোটে অংশ নিতে না পারে। এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীও হতে না পারে। কারণ, তারা যদি অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, তাহলে নির্বাচন বানচাল হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, নির্বাচন উপলক্ষে গণসংযোগ করা ইত্যাদিও সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ। সুতরাং গণহত্যার বিচার শেষ হওয়ার পূর্বে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও কোনো ধরনের নির্বাচনি কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার সুযোগ পেলে নির্বাচন কমিশনের হাত ধরেই আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত ও পালিয়ে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নির্বাচনি প্রচারণার নামে রাজপথে সক্রিয় হয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করার সুযোগ পাবে। এ ক্ষেত্রে জনরোষে থাকা নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতারা জনগণের প্রতিরোধের মুখে পড়লে নির্বাচনের পরিবেশও অশান্ত হয়ে উঠবে। যার দায় নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তাবে।
আরও পড়ুন<<>>দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিবি
এছাড়া বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের নেতারা লুটপাট করে অর্থ উপার্জন করেছেন, তাদের অবৈধ টাকার কোনো অভাব নাই। সুতরাং পদপদবিতে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্রভাবেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেলে অর্থের ছড়াছড়ি ও পেশী শক্তির মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী যাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ না পান, সে বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান স্পষ্ট করার অনুরোধ করা হয়।
রাশেদ খান আরও বলেন, আমরা সিইসিকে জানিয়েছি-ফ্যাসিবাদের দোসর জাপা ও ১৪ দলকেও যেন ভোটের বাইরে রাখা হয়। এমনকি বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) থেকে অনুষ্ঠেয় সংলাপেও যেন তাদের না ডাকা হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে রাশেদ খানের সঙ্গে দলের অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
আপন দেশ/এসআর
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































