
ছবি: আপন দেশ
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এ মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফলে মানুষ কথা বলার সাহস পেয়েছে। যা পূর্বে শেখ হাসিনার শাসনামলে সম্ভব ছিল না।
শনিবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও আগামী নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জনতা পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি) এ সভার আয়োজন করে।
ড. কিবরিয়া বলেন, এনজিও ও চট্টগ্রামের লোকদের নিয়ে ড. ইউনুস সরকার গঠন করেছেন। আমি এ সরকারকে সমর্থন করি না। বিপ্লবের পথ আমরা হারিয়ে ফেলেছি। আমি ভাবিনি শেখ হাসিনার পর এমন একটি সরকার আসবে। তারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর নষ্ট করেছে।
আরও পড়ুন>>>দেশে আরেক চেতনার উদ্ভব হয়েছে: রিজভী
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেপিবি-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব গোলাম সারোয়ার মিলন বলেন, তারা রাষ্ট্রে রাজনৈতিক নয়, জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে চান। তিনি প্রশ্ন তোলেন, আর কয়টা গণঅভ্যুত্থান হলে দেশ ভালোভাবে চলবে? আমরা স্বৈরাচারের বিচার চাই। স্বৈরাচার বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
জেপিবি’র মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, ড. ইউনুস সরকার কি বিএনপির দিকে ঝুঁকে নিজেদের নিরাপদ প্রস্থানের পথ খুঁজছে? তিনি আরও বলেন, এ সরকারকে কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। তিনি প্রশ্ন করেন, জুলাই সনদ ঘোষণার দিন কেন সে-সব ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন না, যাদের মাধ্যমে ড. ইউনুস সরকারে এসেছেন। বাংলাদেশ কি আগের পথে ফিরে যাবে?
মুসলিম লীগের সভাপতি মহসীন রশিদ ড. ইউনুসের সমালোচনা করে বলেন, তিনি একটি 'এনজিও সরকার' প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি নোবেল পুরস্কারের যোগ্য নন। তিনি আগেই এ সরকারের ব্যর্থতার কথা জানতেন বলে মন্তব্য করেন।
জেপিবি'র উপদেষ্টা শাহ মো. আবু জাফর বলেন, বৈষম্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য জনতা পার্টি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমাদের যে কোন সংকট মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
যুগ্ম মহাসচিব রফিকুল হক তালুকদার রাজার সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি'র নির্বাহী সভাপতি মাওলানা একে এম আশরাফুল হক, জাতীয় সংস্কার জোটের আহবায়ক মেজর (অব.) আমীন আহমেদ আফসারী, এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, জেপিবির ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র এড. এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান, এড. মো. আব্দুল্লাহ, রেহানা সালাম, এম এ ইউসুফ, মেজর (অব.) ইমরান, সৈয়দা আজিজুন নাহার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো. আসাদুজ্জামান, সমন্বয়কারী জনাব নুরুল কাদের সোহেল প্রমুখ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টা মো. মোজাম্মেল হক, যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল কবীর, শিউলী সুলতানা রুবী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, শাজাহান প্রধান, জেসমিন আক্তার, ডা. মাসুদুজ্জামান, পারুল সরকার লিনা, দফতর সম্পাদক মৃধা মো. আল আমিন, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক এড. জাহাঙ্গীর, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বশির আহমেদ, সদস্য, আসমা আক্তার, এস কে রোমা প্রমুখ।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।