
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ
সব শঙ্কা আর অনিশ্চয়তাকে দুরে সরিয়ে কাঙ্ক্ষিত দুই ঘোষণা এসেছে। প্রথমে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়েছে। পরে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) এ দুটি ঘোষণা দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার দেয়া জুলাই ঘোষণাপত্র ও নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। এদিন সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের যেসব ঘোষণা আমরা সেসব রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন তিনি নির্বাচন কমিশনে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে রমজানের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য চিঠি দেবেন। কমিশন সে অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশাবাদী। আমরা এ ঘোষণার জন্য সবাই অপেক্ষা করছিলাম, সারা জাতি অপেক্ষা করছিল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, নির্বাচন নিয়ে যে দোদুল্যমানতা ছিল অনেকের সেটা আর রইলো না। জাতি এখন নির্বাচনমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে আগাবে। আগামী নির্বাচন আশা করি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বের মধ্যে একটি প্রশংসিত নির্বাচন হবে বলে আমরা আশা রাখি।
এদিকে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচন ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও নজরুল ইসলাম খান। তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তার দেয়া কথা রেখেছেন। এ জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এর আগে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (ইসি) কাছে চিঠি পাঠাব, যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা অনেক দূর পথ অতিক্রম করে এসেছি। আমাদের জাতীয় জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে, অর্থনীতিতে গতিশীলতা এসেছে, সংকট দূর হয়েছে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।