ছবি: আপন দেশ
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন লাগার পরও অক্ষত অবস্থায় থাকা ঘরগুলো থেকে টিভি, ফ্রিজসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন বস্তিবাসী।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, আগুন লাগা ঘরের আশপাশ থেকে আসবাবপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। অনেককেই কাঁধে করে টিভি ও ফ্রিজসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিরাপদ স্থানে নিতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন<<>>কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ১১ ইউনিট
আকলিমা খাতুন নামে এক বাসিন্দা রাস্তার পাশে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার কিছুই আনতে দিলো না। কষ্ট করে কিছু জিনিসপত্র কিনেছিলাম, সব শেষ হয়ে গেছে। আমার কষ্ট আল্লাহ কেন দেখলো না। এমন কইরা আমাগো কেন মারে আল্লাহ।
আজিজ শেখ নামের একজন মাথায় টেলিভিশন ও হাতে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে বের হন। তিনি বলেন, এ দুইডা জিনিস বাইর করতে পেরেছি। বাকিসব পুইড়া গেছে। চোখের সামনে সব পুড়ে গেলো।
স্কুলপড়ুয়া শিশু হাসান, তার কাঁধে একটি বড় বস্তা সঙ্গে তার মা লিমা আক্তার দুই হাতে দুটি বড় ব্যাগ নিয়ে বের হচ্ছেন। হাসানের বাবা বাইরে কাজে থাকায় মা-ছেলে যতটুকু পারে, জিনিসপত্র উদ্ধার করছেন।
লিমা আক্তার বলেন, কিছুই বের করতে পারি নাই। আমাদের ঘরেই আগুন লেগেছে। ছয় বছর ধরে বস্তিতে থাকি, দুইবার আগুনের শিকার হয়েছি। আগেরবার খুব বেশি ক্ষতি হয়নি, কিন্তু এবার দামি আসবাবপত্র সব পুড়ে গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ।
রাশেদ বিন খালিদ বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। যানজটের কারণে এখনো পথে রয়েছে তিনটি ইউনিট।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।
আপন দেশ/এসআর
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































