
ফাইল ছবি
আজ বিশ্ব সংগীত দিবস। প্রতিবছর সারা বিশ্বে ২১ জুন উদ্যাপিত হয় দিবসটি। পৃথিবীতে শান্তি ও ইতিবাচক চিন্তাকে ছড়িয়ে দেয়াই এ দিবসের উদ্দেশ্য।
সংগীত ও সুর নির্দিষ্ট কোনো দেশের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। তাই গানের এই ভাষাকে সর্বজনীন ভাষাও বলা হয়ে থাকে। এ দিবসটির সঙ্গে ফ্রান্সের উৎসব ‘ফেট ডে লা মিউজক’ (বিশ্বজুড়ে সংগীতের দিন) উৎসবের যোগসূত্র রয়েছে। শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিখ্যাত এ দেশটিই বিশ্ব সংগীত দিবস উদ্যাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
কারণ, ১৯৮১ সালে ফ্রান্সের সংস্কৃতিমন্ত্রী জ্যাক লাঙ এই উৎসবকে একটি আন্তর্জাতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করেন। এরপর অব্যাহত প্রচেষ্টায় ১৯৮২ সালে বিশেষ এ সংগীত উৎসবের দিনটিই ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক ডে’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশ সর্বপ্রথম দিবসটি উদ্যাপন শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশের পাশাপাশি প্রায় ১২০টি দেশের ৪৫০টি শহরে উদ্যাপিত হয় এ দিবস। দিবসটি উদ্যাপনে বিভিন্ন দেশেই গানের কনসার্ট ও গাননির্ভর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
গান সবাইকে একসূত্রে বেঁধে রাখার ক্ষমতা রাখে। সুরে ফুটে ওঠে আবেগ, দুঃখ আর সুখের বন্যা। তাই বিশ্ব সংগীত দিবসে মনের অনুভূতিগুলোকে প্রকাশ করতে ভালোবাসুন গানকে। তবে অনেকেই মনে করেন শুধু একদিন নয়, জীবনের প্রতিটি দিনই হওয়া উচিত সংগীতমুখর।
আপন দেশ/এমবি