Apan Desh | আপন দেশ

সোনালী লাইফের দুর্নীতি: কুদ্দুসসহ ৮ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

নিজস্ব প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ১ জুন ২০২৫

আপডেট: ১৭:৩১, ১ জুন ২০২৫

সোনালী লাইফের দুর্নীতি: কুদ্দুসসহ ৮ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

ফাইল ছবি

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির তহবিল থেকে ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৮ জনের ১৪১ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির প্রয়াত সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, তার স্ত্রী, সন্তানসহ মোট ৮ জনের ১৪১ ব্যাংক হিসাব ও১১টি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) নম্বরের শেয়ার হিসাব ফ্রিজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রোববার (০১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অন্যরা হলেন- গোলাম কুদ্দুসের মেয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, তাসনিয়া কামরুন অনিকা, ছেলে মোস্তফা কামরুল সোবহান, কামরুলের স্ত্রী শাফিয়া সোবহান চৌধুরী, নুর-ই হাফজা, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক সিএফও ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমান।  

আরও পড়ুন>>>সোনালীর ১৮৭ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী সোবহান রূপালীর চেয়ারম্যান!

এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত এসব অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বোর্ড পরিচালক এবং প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাসহ একই পরিবার ৭টি পদ গ্রহণ করে। পরে একে অপরের সহায়তায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জাল চুক্তিনামা, বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির তহবিল থেকে ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা উত্তোলন করে। এর মাধ্যমে এসব অর্থ তাদের নামের বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। সেজন্য দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হয়েছে। 

তদন্তকালে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, আসামিদের মালিকানাধীন এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। আসামিদের মালিকানাধীন এবং তাদের অর্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামীয় ব্যাংক হিসাব ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব বা শেয়ার ফ্রিজ করা না হলে বিচারকালে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এতে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের মালিকানাধীন, তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নামীয় ব্যাংক হিসাব ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব বা শেয়ার (বিও আইডি) ফ্রিজ করা একান্ত প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস মৃত্যুবরণ করেন।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়