ছবি : সংগৃহীত
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি প্রধান হাসপাতালে ক্ষমতাসীন জান্তার বিমান হামলায় রোগীসহ কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহ আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এক ত্রাণকর্মী এবং একজন প্রত্যক্ষদর্শী এই তথ্য জানিয়েছেন।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
রয়টার্সের তথ্যমতে, দেশের চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যে নির্বাচন শুরুর আগেই জান্তা বাহিনী তাদের আক্রমণ আরও তীব্র করেছে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ২৮ ডিসেম্বর থেকে। কিন্তু বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ভোটগ্রহণ ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাখাইনের ম্রাউক-উ শহরের সাধারণ হাসপাতালে সামরিক বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়।
সহায়তাকর্মী ওয়াই হুন অং জানান, ঘটনাস্থল অত্যন্ত ভয়াবহ। এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত, সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে। এ ছাড়া আহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। হামলার পর হাসপাতালের একটি পুরো উইং ধসে পড়ে অগ্নিদগ্ধ হয়।
রয়টার্স জানায়, রাতভর বাইরে অন্তত ২০টি লাশ কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় দেখা যায়। সকালে ধ্বংসযজ্ঞ আরও স্পষ্ট হয়। ওয়ার্ডের বিছানা, ভবনের ধ্বংসাবশেষ, বাইরে বিকৃত হয়ে পড়া গাছ, আর বিস্ফোরণে মাটিতে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় কারিগর মাউং বু চায় জানান, হামলায় তার স্ত্রী, পুত্রবধূ এবং পুত্রবধূর বাবাকে হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন : ভেনেজুয়েলার তেলবাহী ট্যাংকার আটক করল যুক্তরাষ্ট্র
আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন অঙ্গরাজ্যের প্রায় পুরো অংশই নিয়ন্ত্রণ করছে এবং বহু বছর ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সামরিক জান্তা এখন সেই এলাকা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। এ কারণে এসব হামলা চালাচ্ছে তারা।
এর আগে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারজুড়ে সংঘাত বাড়তে থাকে এবং আন্তর্জাতিক মনিটরিং গ্রুপগুলো জানিয়েছে যে, এ সময় থেকে বিমান হামলা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আপন দেশ/এনএম
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































