Apan Desh | আপন দেশ

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলের হামলা, বাড়ছে প্রাণহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:০৮, ৯ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ০৯:০৯, ৯ নভেম্বর ২০২৫

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলের হামলা, বাড়ছে প্রাণহানি

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নৃশংস গণহত্যার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েল। কিন্তু চুক্তির প্রায় একমাস পরও ভূখণ্ডটিতে মৃত্যুর মিছিল থামছে না। প্রতিনিয়ত চুক্তি লঙ্ঘন করে চলেছে দখলদার বাহিনী। ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধারের চলমান প্রচেষ্টার ব্যহত হচ্ছে। তাছাড়া ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রতিদিনই প্রাণহানি বাড়ছে।

শনিবার (০৮ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯ হাজার ১৬৯ জনে পৌঁছেছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ২৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
 
আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার ইসরায়েলি হামলায় আরও দুই ফিলিস্তিনির  মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরের পরও নানা অজুহাতে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। গাজার উত্তর সীমান্তে ‘ইয়েলো লাইন’ অতিক্রম করার অভিযোগ তুলে হত্যা করেছে আরও কয়েকজনকে।
 
স্থানীয়দের দাবি, যুদ্ধবিরতির পর নির্ধারিত এ ‘ইয়েলো লাইন’ আসলে অদৃশ্য এক সীমা, যা কোথায় রয়েছে কেউ জানে না। এতে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। হামলা চলছে অন্যান্য এলাকাতেও। নেতানিয়াহু বাহিনীর পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরিত হয়ে প্রাণ গেছে শিশুরও।
 
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েল প্রায় দুই লাখ টন বোমা ফেলেছে গাজায়, যার মধ্যে ৭০ হাজার টন এখনো নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।

আরও পড়ুন<<>>বাংলাদেশের সঙ্গে বিবাদ চায় না ভারত: রাজনাথ সিং

গাজার শেখ রাদওয়ান এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। বৃষ্টির পানি ধরে রাখার পুকুরে জমে আছে ময়লা-আবর্জনা। ইসরায়েলি হামলায় পাম্প স্টেশন ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ওই পানি ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের বসতি ও আশ্রয়শিবিরে।
 
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পানির স্তর ৬ মিটার পর্যন্ত বেড়ে গেছে, যা দুর্গন্ধ, মশা ও সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার ভূগর্ভস্থ পানির বেশিরভাগ অংশই এখন মারাত্মকভাবে দূষিত।
 
এদিকে, পশ্চিম তীরেও বাড়ছে সহিংসতা। জেনিনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের রাবা গ্রামে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে হামলা চালায় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা। তাদের সহায়তা করছে সেনারা। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিম তীরে ৭০টি গ্রামে ১২৬টি সহিংস হামলা হয়েছে। পুড়ে গেছে চার হাজারেরও বেশি জলপাই গাছ।
 
অন্যদিকে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি শহরে ইসরায়েলি হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। যদিও এক বছরেরও বেশি সময় আগে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েল নিয়মিতভাবে লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলার আহবান জানিয়েছ ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়