Apan Desh | আপন দেশ

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়াকে যুদ্ধ বন্ধের আহবান ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ২৭ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১১:৩৫, ২৭ জুলাই ২০২৫

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়াকে যুদ্ধ বন্ধের আহবান ট্রাম্পের

ফাইল ছবি

সীমান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে দুই প্রতিবেশি থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। তিন দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি উভয় দেশকে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আহবান জানিয়েছেন। দেশ দুটির নেতাদের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে এবং উভয় পক্ষই দ্রুত শান্তি আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে বলেও জানান ট্রাম্প।

রোববার (২৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, থাইল্যান্ড নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত তবে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে সৎ অভিপ্রায় দেখতে চায়।

ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে ফুমথাম এ মন্তব্য করেন। পোস্টটি ট্রাম্পের স্কটল্যান্ড সফরের সময় করা একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টের প্রতিক্রিয়া। ট্রাম্প বলেন, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ও থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথামের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি সংঘাত বন্ধ না হয়, তাহলে কোনো দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি হবে না।

ট্রাম্প লিখেছেন, উভয় পক্ষই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চেয়েছে।

ফুমথাম আরও বলেন, তিনি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন কম্বোডিয়ার পক্ষকে জানাতে যে, থাইল্যান্ড একটি দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করতে চায়, যাতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব হয়।

গত ১৩ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি নিহত হয়েছে এবং ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের আগে, থাই-কম্বোডিয়ার সীমান্তে সংঘর্ষ তৃতীয় দিনে গড়ায় এবং নতুন নতুন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষই বলেছে, তারা আত্মরক্ষার্থে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং অপর পক্ষকে যুদ্ধ বন্ধ করে আলোচনায় বসার আহবান জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ সংঘাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং উভয় পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার ও আলোচনা শুরু করার আহবান জানিয়েছেন।

ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি আলোচনার কোনো বিস্তারিত জানাননি। হোয়াইট হাউসও তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনার সময় ও স্থান সম্পর্কে কিছু জানায়নি। ওয়াশিংটনে অবস্থিত থাই ও কম্বোডিয়ার দূতাবাসও কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়