
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের মেঘালয় সরকার পূর্ব খাসি হিলস জেলায় দুই মাসের নাইট কারফিউ জারি করেছে। প্রতিবেশী বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি ও আঞ্চলিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এ কারফিউ জারি করা হয়।
বৃহস্পতিবার (০৮ মে) থেকে কারফিউ কার্যকর হয়েছে এবং প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।
ভরতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার (BNSS) ধারা ১৬৩ অনুযায়ী এ কারফিউ জারি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তের জিরো লাইন থেকে ১ কিমি পর্যন্ত এলাকাজুড়ে এ বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।
পূর্ব খাসি হিলস জেলা শাসক আর.এম. কুরবাহ, আইএএস স্বাক্ষরিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এ পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো- অবৈধ সীমান্ত পারাপার, চোরাচালান ও বেআইনি জমায়েত রোধ করা।
আরওপড়ুন<<>>চীনা বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত পাকিস্তানের
নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ডগুলির মধ্যে রয়েছে, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির জমায়েত, সীমান্ত অতিক্রমের উদ্দেশ্যে যাতায়াত, লাঠি, রড, পাথরের মতো অস্ত্রোপযোগী বস্তু বহন। এছাড়া এ নির্দেশনায় সীমান্ত অঞ্চলে গবাদি পশু, সুপারি, পানপাতা, শুকনো মাছ, বিড়ি, সিগারেট ও চা পাতা ইত্যাদি চোরাচালান প্রতিরোধের কথাও বলা হয়েছে।
কারফিউটি তৎক্ষণাৎ কার্যকর করা হয়েছে। এটি মূলত নিরাপত্তা উদ্বেগ ও সীমান্ত পরিস্থিতির জটিলতা বিবেচনা করেই নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহালগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এরপর ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ভারত-পাকিস্তানকে শান্তি বজায় রাখার ও কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে পৌঁছানোর আহবান জানায়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, তারা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় উভয় দেশকে সংযত আচরণেরও অনুরোধ জানাচ্ছে।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।